top of page

Technical analysis (CSE) Bangla

টেকনিক্যাল এনালাইসিস - ১ (অতীত ও বর্তমান)

আমরা যদি শেয়ার মার্কেট এনালাইসিস করতে চাই তাহলে প্রয়োজন হবে ৩টি জিনিষের, ১) ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস ২) টেকনিক্যাল এনালাইসিস ৩) সেন্টিমেন্টাল বা নিউজ এনালাইসিস।

একটি ছাড়া অন্যটি অচল। অনেককে দেখা যায় শুধু মাত্র একটি এনালাইসিস-এর উপর নির্ভর করে শেয়ার ব্যবসায় নেমে পড়েন এবং লাভ-লোকসান যাই হোক না কেন নিজের ভাগ্য বলে মেনে নেন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, যে কোন শেয়ারে সফলভাবে লাভবান হতে হলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস, ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস, সেন্টিমেন্টাল বা নিউজ এনালাইসিসের দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে। আজ থেকে আমরা টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উপর জানা শুরু করব। সহজ করে বলতে গেলে, একটি শেয়ারের অতীতের কিছু Price Movement-এর উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এর মূল্য কেমন হতে পারে, তা খুঁজে বের করার পদ্ধতিকেই বলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস। সব মিলিয়ে বলা যায়, একটি কোম্পানির শেয়ার অতীতে কোন সময় কোথায় ছিল, বর্তমানে শেয়ারের গতি কোনদিকে, ঠিক কোন অবস্থায় গিয়ে শেয়ারটি ক্রয়-বিক্রয় করা নিরাপদ আর লাভজনক-এসব বিষয় চার্টের মাধ্যমে খুঁজে বের করাই হল টেকনিক্যাল এনালাইসিস।

টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উৎপত্তিঃ টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মূলনীতিগুলো আসলে শত শত বছরের পুরোনো। ১৭শ শতাব্দীতে ডাচ্ শেয়ার মার্কেটে ‘জোসেফ ডি লা ভেগা’ প্রথম কিছুটা টেকনিক্যাল এনালাইসিস শুরু করেন। তারপর, জাপানে ১৮শ শতকের প্রথম দিকে হোমা মুনিহিসা ‘ক্যান্ডেলস্টিক টেকনিক’ (Candlestick Techniques) ব্যবহার করে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের ধারনা দেন। যা বর্তমানে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের অন্যতম জনপ্রিয় চার্টিং টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনি এই এনালাইসিস ব্যবহার করে শেয়ার কেনাবেচায় প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার (আজকের হিসাবে) মুনাফা করেন।

টেকনিক্যাল এনালাইসিস - ২

চার্ট কি ? সাধারণত টেকনিক্যাল এনালাইসিস করা হয় চার্ট (Chart) বা গ্রাফ-এর মাধ্যমে। এগুলো দেখতে সব ব্যবসা/কাজে ব্যবহৃত চার্টের মতই। তবে, শেয়ার মার্কেটের Chart বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি শেয়ারের দামের যে ওঠা-নামা হয়, তারই একটা গ্রাফিকাল উপস্থাপনাকে বুঝায়। আর এই Chart-এর মূল উপাদান হিসেবে থাকে কিছু প্রাইস ফিল্ড (Price Field)। এই প্রাইস ফিল্ড যে তথ্যগুলি ধারন করে, তা হল - > Opening Price: প্রতিদিন লেনদেন শুরু হওয়ার পর কোন কোম্পনির প্রথম শেয়ারটি যে টাকায় লেনদেন হয়, তা হল ঐ কোম্পানির শেয়ারের সেদিনের Opening Price। > Highest Price: প্রতিদিন লেনদেন শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ঐ কোম্পানির শেয়ারটি সর্বোচ্চ যে টাকায় লেনদেন হয়, তা হল ঐ শেয়ারের সেদিনের Highest Price। > Lowest Price: প্রতিদিন লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঐ কোম্পানির শেয়ারটি সর্বনিম্ন যে টাকায় লেনদেন হয়, তা হল ঐ শেয়ারের সেদিনের Lowest Price। > Closing Price: প্রতিদিন লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত ঐ শেয়ারটি সর্বশেষ যে টাকায় লেনদেন হয়, তা হল ঐ শেয়ারের সেদিনের Closing Price। এই Open, High, Low এবং Close Price দিয়েই বিভিন্ন ধরনের চার্ট এনালাইসিস করা হয়।

চার্টের বৈশিষ্ট্য: একটি চার্টে এনালাইসিসের সময় কয়েকটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। যেমন সময়ের স্কেল, দামের স্কেল। সময় স্কেল বলতে একটি শেয়ারের বিভিন্ন সময়কাল বোঝানো হয়, এটা কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক বছরের হিসেবেও হতে পারে। তবে সাধারণত টাইম স্কেল মানে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক হিসেব বোঝানো হয়। চার্ট এর প্রকারভেদ: অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা প্রধানত ৩ ধরনের চার্ট এনালাইসিস করে থাকেন। এটা নির্ভর করে তাদের কি রকম চার্ট এনালাইসিস লাগবে অথবা তারা কোন ধরণের চার্ট এনালাইসিস করতে বেশি পারদর্শী তার উপর।

এসব চার্টের মধ্যে আছে

Line Chart (লাইন চার্ট),

Bar Chart (বার চার্ট) এবং

Candlestick Chart (ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট)।

> Line Chart (লাইন চার্ট) লাইন চার্ট হচ্ছে একেবারে বেসিক লেভেলের চার্ট। যেখানে একটা নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট শেয়ারের শুধুমাত্র ক্লোজিং প্রাইসকে দেখানো হয়। যে লাইনটি টানা হয় সেটি হল বিভিন্ন দিনের বা সময়ের ক্লোজিং পয়েন্টগুলোর যোগসূত্র। তবে লাইন চার্ট দিয়ে কোন শেয়ারের সঠিক গতিবিধি জানা যায়না। যেমন শুরুর দিকে দাম কেমন ছিল, সারাদিনে কতটা বেড়েছে বা কমেছে ইত্যাদি। তারপরও একটা শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারন শেয়ারের মূল্য নির্ধারন করতে গেলে শেষের দামটাই কাজে লাগে। (See uploaded Image # 1 : Line Chart)

> Bar Chart (বার চার্ট) বার চার্ট অনেকটা লাইন চার্টের মতই। তবে পার্থক্য হচ্ছে এই চার্টে Open, High, Low এবং Close Price থাকে। এই চার্টটি তৈরিই হয় লম্বা লম্বা লাইন দিয়ে যেখানে উপরের দিকে থাকে শুরুর দিককার দাম এবং নিচের দিকে থাকে ক্লোজিং প্রাইস বা শেষের দাম। তাছাড়াও উল্লেখ্য করার মত ব্যাপার হল রঙের ব্যবহার। এই চার্টে শেয়ারের দাম যদি বাড়ে তাহলে সবুজ এবং যদি শেয়ারের দাম যদি কমে যায় তাহলে কালো বা লাল রঙের বার ব্যবহার করা হয়। (See uploaded Image # 2 : Bar Chart)

> Candlestick Chart (ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট)

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চার্ট এনালাইসিস হল Candlestick Chart। এটি দেখতে কিছুটা বার চার্টের মতো হলেও এতে Open, High, Low এবং Close Price-সহ যেকোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিপূর্ণ তথ্য থাকে। তাই Candlestick Chart দিয়ে সহজে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করা যায়। এর সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে, যেকোন শেয়ারের যেকোন একটি ক্যান্ডেল দেখলেই বুঝা যায় ঐ দিন/সময়ে শেয়ারটির লেনদেন আচরণ কেমন ছিল। (See uploaded Image # 3 : Candlestick Chart)

চার্ট এনালাইসিস হচ্ছে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে মনে রাখতে হবে, চার্ট দেখে যেন বোঝা যায় যে এখানে কি তথ্য রয়েছে। আমরা মোটামুটি ভাবে বুঝেছি যে চার্ট এনালাইসিস কেমন হতে পারে। পরবর্তীতে আমরা ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

টেকনিক্যাল এনালাইসিস - ৩

ক্যান্ডেলস্টিকের ইতিহাস ও ভলিউম আজ থেকে শত শত বছর আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা কেনাবেচার জন্য Candlestick Chart ব্যবহার করতেন। জানা যায়, ১৭০০ সালের পরে ‘হোমা মুনিহেসা’ নামক এক জাপানী চাল ব্যবসায়ী সর্ববপ্রথম Candlestick Chart আবিষ্কার করেন। মুনিহেসা বুঝতে পেরেছিলেন চালের দামের সাথে চাহিদা এবং যোগানের যদিও একটা সম্পর্ক আছে, কিন্তু তারপরেও বাজার চলে সাধারন মানুষের আবেগ দিয়ে।

Candlestick Chart-এর মূলনীতিগুলো মুনিহেসাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চালের দামের ওঠা-নামাকে আঁকা চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে সাহায্য করত। এরপর Steve Nilson নামক এক বৃটিশ ভদ্রলোক জাপানিদের কাছ থেকে এই পদ্ধতিটি বুঝে নেন এবং নিজে অনেক গবেষণা করার পর “Japanese Candlestick” নাম দিয়ে এটি প্রচার করেন। ১৯০০ শতকে পর থেকে “Japanese Candlestick” সারাবিশ্বে জনপ্রিয়তা পায়।

Candlestick ২ ধরনের হয়ে থাকে। ১। Bullish (পজেটিভ) ২। Bearish (নেগিটিভ)

> Bullish Candlestick (পজেটিভ ক্যান্ডেলস্টিক) কোন শেয়ারের Opening Price এর তুলনায় Closing Price-এর মান বেশী থাকলে ঐ Candlestick কে Bullish Candlestick বলা হয়। Bullish Candlestick-এর রং সাধারনত সবুজ হয়ে থাকে। যেমন, কোন কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয় ১৭৮টাকায়, সর্বোচ্চ মূল্য ১৯০টাকা, সর্বনিম্ন মূল্য ১৭৬টাকা এবং দিনশেষে ১৮৪টাকায় লেনদেন শেষ করে।

> Bearish Candlestick (নেগিটিভ ক্যান্ডেলস্টিক) কোন শেয়ারের Opening Price এর তুলনায় Closing Price-এর মান কম হলে, ঐ Candlestick-কে Bearish Candlestick বলা হয়। Bearish Candlestick রং সাধারণত লাল হয়ে থাকে। যেমন, কোন কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয় ১৯২ টাকায়, সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ১৯৬টাকা, সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১৬৭টাকা এবং দিনশেষে ১৭৪টাকায় লেনদেন শেষ করে।

এই ২ ধরণের “Candlestick” দিয়েই ১টি কোম্পানির শেয়ারের ১ দিনের লেনদেনে, ক্রয়-বিক্রয়ের চাপ কেমন তা বুঝানো হয়। > Shadow: যেকোন Candlestick-এর ২টি অংশ থাকে, Real Body এবং Shadow। Real Body-এর উপরে ও নীচে অবস্থিত লম্বা লাইনগুলো (Highest ও Lowest Price) Shadow নামে পরিচিত। এই Real Body এবং Shadow কখনও খুব ছোট, আবার কখনও অনেক বড় হয়। যা মার্কেটের ভিন্ন ভিন্ন ট্রেডিং পরিস্থিতি প্রকাশ করে।

Candlestick Chart শেয়ার ট্রেডারদের মনের আবেগ এবং বাজারের সঠিক দামটা জানার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই ধরনের চার্ট মানুষের আবেগের সঠিক চিত্র তৈরি করে, যা কিনা শেয়ার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে খুবই দরকারী।

> ভলিউমের তথ্য: টেকনিক্যাল এনালাইসিসের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারী তথ্য হলো, প্রতিদিনের শেয়ার কেনা-বেচার ভলিউম বা পরিমান জানা। # ভলিউম খুবই গুরুত্বপূর্ন এই কারনে যে, যেদিনের লেনদেনের তথ্য নেয়া হবে সেদিন যদি অনেক বেশি পরিমানে শেয়ার কেনা-বেচা হয়ে থাকে। তাহলে ধরে নিতে হবে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ এই দামে কেনাবেচা করতে আগ্রহী এবং এই দামটাই ঐ দিনের জন্য যৌক্তিক দাম। # অপরদিকে শেয়ার কেনা-বেচায় যদি ভলিউম কম হয়, তাহলে বুঝতে হবে অল্প কিছু মানুষ লেনদেনে আগ্রহী এবং সেদিন যে দামে লেনদেন হবে সেটা ঐ দিনের জন্য যৌক্তিক দাম নাও হতে পারে। বেশিরভাগ টেকনিক্যাল এনালিস্টদের কাছে, ভলিউম হচ্ছে শেয়ার বাজারের চলতি ট্রেন্ড বা দৈনন্দিন হালচাল বোঝার এক সমন্বিত রুপ । কোন নির্দিষ্ট দিনে একটি শেয়ারের বিভিন্ন পর্যায়ের দামের ওঠা-নামার সাথে ভলিউম দেখে সহজেই বুঝা যায় ঐ কোম্পানির বর্তমান অবস্থান কেমন। সাধারণত ভলিউম দিয়ে যারা প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডার তাদের মনোভাব বোঝা যায়, আর দাম দিয়ে শেয়ারের গতিবিধি কোন দিকে যাবে সেটা বোঝা যায়। তবে, বিনিয়োগকারীদের যৌক্তিক দাম এবং ভলিউম দুটোই বিবেচনা করে বিনিয়োগ করা উচিত।

Technical Analysis -4 (Single Candlestick)

গত সপ্তাহের টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা ক্যান্ডেলস্টিকের পরিচিত নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আশা করি, আপনারা সবাই ক্যান্ডেলস্টিকের ইতিহাস সম্বন্ধে একটা ধারণা পেয়েছেন। আজ থেকে আমরা বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে পর্যায়ক্রমে আপনাদেরকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। প্রায় ১৪৫ ধরণের জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক আছে। কিন্তু অনেকগুলো ক্যান্ডেলস্টিক আছে যেগুলোর কাজ প্রায় সমান অথবা কম গুরুত্বপূর্ণ- সে সকল ক্যান্ডেলস্টিক বাদ দিয়ে এবং যে সকল ক্যান্ডেলস্টিক দিয়ে আপনি সহজে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে পারবেন সেই সকল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়েই আমরা ধারাবাহিক আর্টিকেল প্রকাশ করব। আজ শুরুতে আমরা সিঙ্গেল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আলোচনা করব। তারপর ডাবল এবং ট্রিপল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আমরা আর্টিকেল প্রকাশ করব।

>Doji Candlestick: যখন কোন Candlestick-এর Opening Price এবং Closing Price এক হয়ে যায়, তখন তাকে Doji বলা হয় (উপরে-নীচে যত বড় Shadow হোক এটা দেখার বিষয় না।) Doji Candlestick সিদ্ধান্তহীনতাকে ইঙ্গিত করে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সিদ্ধান্তহীনতাই Doji রূপ ধারণ করে। মার্কেটের ভিন্ন ভিন্ন পরিস্তিতির কারণে অনেক রূপে গঠিত হয়, যেমনঃ Long-legged Doji, Dragonfly Doji, Gravestone Doji, Four Price Doji.

>Dragonfly Doji (Bullish): Dragonfly Doji মূলতঃ তখনই তৈরি হয় যখন কোন ট্রেডের Open, High এবং Close এক সমান হয়ে যায়, এটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর লম্বা Lower Shadow যার দ্বারা বোঝা যায় যে, অনেক চেষ্টা করে মার্কেটে price কমানো গেলেও Closing এর সময় সেই Price আবার বেড়ে Opening কে ধরে ফেলে। সাধারণত Downtrend মার্কেটের তলায় Dragonfly Doji দেখতে পাওয়া যায় এবং এটি তখন Uptrend Reversal Signal প্রদান করে থাকে।

>Dragonfly Doji (Bearish): সাধারণত Downtrend মার্কেটের তলায় Dragonfly Doji দেখতে পাওয়া যায় এবং এটি Bullish Reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে, তবে এর ব্যতিক্রমও ঘটে। অনেক সময় Uptrend মার্কেটের চূড়ায় Dragonfly Doji দেখতে পাওয়া যায় এবং তখন এটি Bearish Reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।

>Gravestone Doji (bearish): যখন কোন শেয়ার এর open, low এবং close price এক সমান হয়ে যায় তখন এই ক্যান্ডেলটি তৈরি হয়। এই ক্যান্ডেলটি শনাক্তকরণের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর লম্বা upper shadow যার দ্বারা বোঝায় যে, অনেক চেষ্টা করে মার্কেটে এর price বাড়লেও closing এর সময় সেই price বৃদ্ধি ধরে রাখা যায় নি। সাধারণত uptrend মার্কেটের চূড়ায় এই ক্যান্ডেলস্টিকটি দেখতে পাওয়া যায়। এটি তখন downtrend reversal signal দেয়।

>Gravestone Doji (bullish): সাধারণত uptrend মার্কেটের চূড়ায় gravestone doji candlestick দেখা যায় এবং এটি bearish reversal signal দিয়ে থাকে; তবে এর ব্যতিক্রমও হয়। যখন downtrend মার্কেটের তলায় gravestone doji candlestick দেখা যায় তখন এটি bullish reversal signal প্রদান করে থাকে।

>Long Lower Shadow (Bullish): Long Lower Shadow bullish candle এর ক্ষেত্রে মূল body এর নিচে লম্বা shadow থাকে। shadow টি মূল body এর তুলনায় ১.৫-২ গুণ পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই ক্যান্ডেলটির অর্থ হচ্ছে শেয়ার এর মূল্য এর সাপোর্ট না ভেঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখতে চায়। এই ক্যান্ডেলের পরবর্তী ক্যান্ডেলটি যদি শক্তিশালী বুলিশ ক্যান্ডেল হয় তবে uptrend confirmation signal পাওয়া যায়। এই ক্যান্ডেলটি downtrend market এর তলায় দেখতে পাওয়া যায়।

>Long Lower Shadow (Bearish): Long Lower Shadow bearish candle এর ক্ষেত্রে মূল body এর নিচে লম্বা shadow থাকে। shadow টি মূল body এর তুলনায় ১.৫-২ গুণ পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই ক্যান্ডেলটি uptrend market এর চূড়ায় দেখতে পাওয়া যায়। এই ক্যান্ডেলের পরবর্তী ক্যান্ডেলটি যদি শক্তিশালী বিয়ারিশ ক্যান্ডেল হয় তবে downtrend confirmation signal পাওয়া যায়।

>Long Upper Shadow (Bullish): Long Upper Shadow bullish candle এর ক্ষেত্রে মূল body এর উপরে লম্বা shadow থাকে। shadow টি মূল body এর তুলনায় ১.৫-২ গুণ পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই ক্যান্ডেলটি downtrend market এর তলায় অথবা শক্তিশালী বুলিশ ক্যান্ডেলের পরে দেখতে পাওয়া যায়। এই ক্যান্ডেলের পরবর্তী ক্যান্ডেলটি যদি শক্তিশালী বুলিশ ক্যান্ডেল হয় তবে uptrend confirmation signal পাওয়া যায়।

>Long Upper Shadow (Bearish): Long Upper Shadow bearish candle এর ক্ষেত্রে মূল body এর উপরে লম্বা shadow থাকে। shadow টি মূল body এর তুলনায় ১.৫-২ গুণ পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই ক্যান্ডেলটি uptrend market এর চূড়ায় দেখতে পাওয়া যায়। এই ক্যান্ডেলের পরবর্তী ক্যান্ডেলটি যদি শক্তিশালী বিয়ারিশ ক্যান্ডেল হয় তবে downtrend confirmation signal পাওয়া যায়।

>Hammer: এই ক্যান্ডেলষ্টিক মূলতঃ তখনই তৈরি হয় যখন কোন শেয়ার এর open, high এবং close প্রায় এক সমান হয়ে যায়। এই ক্যান্ডেলষ্টিকটি দেখতে হাতুরির মতো হয় এবং মূল বডি-র সাইজের দ্বিগুণ আকারের চেয়েও বড় lower shadow থাকে। মূলতঃ downtrend মার্কেটের তলায় Hammer candlestick দেখা যায় এবং শক্তিশালী uptrend reversal signal দেয়, তবে uptrend reversal নিশ্চিত হওয়ার জন্য Hammer এরপর bullish candlestick এর উপস্থিতি জরুরী।

>Hanging Man: এই ক্যান্ডেলষ্টিক মূলতঃ তখনই তৈরি হয় যখন কোন শেয়ার এর open, high এবং close প্রায় এক সমান হয়ে যায়। এই ক্যান্ডেলষ্টিকটি দেখতে ঝুলন্ত মানুষের মতো হয় এবং মূল বডি-র সাইজের দ্বিগুণ আকারের চেয়েও বড় lower shadow থাকে। মূলতঃ uptrend মার্কেটের চূড়ায় Hanging man candlestick দেখা যায় এবং শক্তিশালী downtrend reversal signal দেয়, তবে downtrend reversal নিশ্চিত হওয়ার জন্য Hanging man এরপর bearish candlestick এর উপস্থিতি জরুরী।

>Inverted Hammer: যখন কোন শেয়ার এর open, high এবং close প্রায় এক সমান হয়ে যায় তখন Inverted Hammer candlestick তৈরি হয়। এই ক্যান্ডেলষ্টিকটি দেখতে Hammer candlestick এর ঠিক বিপরীত। এর upper shadow মূল body এর সাইজের দ্বিগুণ হয়। মূলতঃ downtrend মার্কেটের তলায় Inverted Hammer candlestick দেখা যায় এবং uptrend reversal signal দেয়, তবে buy করার জন্য কোন শক্তিশালী সিগন্যাল প্রদান করে না। শক্তিশালী uptrend reversal signal এর জন্য Inverted Hammer এরপর bullish candlestick এর উপস্থিতি জরুরী।

>Shooting Star: Inverted Hammer এবং Shooting Star candlestick দেখতে পুরোপুরিভাবে একই রকম, তবে এদের অবস্থানের উপর এদের বৈশিষ্টের পার্থক্য হয়ে থাকে। এটি uptrend মার্কেটের চূড়ায় দেখা যায় এবং শক্তিশালী downtrend reversal signal দেয়।

>Bullish Marubozu: কোন ক্যান্ডেলষ্টিকে সামান্য পরিমাণেও কোন shadow না থাকলে ঐ ক্যান্ডেলষ্টিককে Marubozu বলা হয়। যে ক্যান্ডেলষ্টিক এর opening price=low এবং closing price=high হয় সেই ক্যান্ডেলষ্টিকটিকে Bullish Marubozu বলা হয়। এই ক্যান্ডেলষ্টিক তৈরি হলে মার্কেটে uptrend continue করে থাকে। তবে এর পরে বড় bearish candle আসলে মার্কেটে bearish reversal এর ঘটনা ঘটতে পারে।

>Bearish Marubozu: কোন ক্যান্ডেলষ্টিকে সামান্য পরিমাণেও কোন shadow না থাকলে ঐ ক্যান্ডেলষ্টিককে Marubozu বলা হয়। যে ক্যান্ডেলষ্টিক এর opening price=high এবং closing price= low হয় সেই ক্যান্ডেলষ্টিকটিকে Bearish Marubozu বলা হয়। এই ক্যান্ডেলষ্টিক তৈরি হলে মার্কেটে downtrend continue করে থাকে। তবে এর পরে বড় bullish candle আসলে মার্কেটে bullish reversal এর ঘটনা ঘটতে পারে।

>Spinning Top (Bullish): কোন ট্রেডের price অনেক উঠা-নামা করলেও opening price এবং closing price উভয়ের মান যদি High এবং low এর মাঝামাঝি এবং নিকটবর্তী হয় তখন, ঐ ট্রেডের candlestick টিকে Spinning Top (লাটিম) বলা হয়। এটি bullish এবং bearish উভয় প্রকারের হতে পারে। Spinning Top candlestick এর মূল body এর তুলনায় upper এবং lower shadow বড় হয়ে থাকে। যখন কোন downtrend মার্কেটের তলায় Spinning Top দেখতে পাওয়া যায় এবং পরের ক্যান্ডেলটি শক্তিশালী bullish candlestick হয়ে থাকে তখন Spinning Top ক্যান্ডেলটি bullish reversal signal প্রদান করে থাকে।

>Spinning Top (Bearish): কোন ট্রেডের price অনেক উঠা-নামা করলেও opening price এবং closing price উভয়ের মান যদি High এবং low এর মাঝামাঝি এবং নিকটবর্তী হয় তখন, ঐ ট্রেডের candlestick টিকে Spinning Top (লাটিম) বলা হয়। এটি bullish এবং bearish উভয় প্রকারের হতে পারে। Spinning Top candlestick এর মূল body এর তুলনায় upper এবং lower shadow বড় হয়ে থাকে। যখন কোন uptrend মার্কেটের তলায় Spinning Top দেখতে পাওয়া যায় এবং পরের ক্যান্ডেলটি শক্তিশালী bearish candlestick হয়ে থাকে তখন Spinning Top ক্যান্ডেলটি bearish reversal signal প্রদান করে থাকে।

Technical Analysis – 5 (Double Candlestick)

গত সপ্তাহের টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা সিঙ্গেল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আশা করি, আপনারা সবাই সিঙ্গেল ক্যান্ডেলস্টিক সম্বন্ধে একটা ধারণা পেয়েছেন। আজ আমরা ডাবল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

>Engulfing (Bullish): কোন downtrend মার্কেটে bearish ক্যান্ডেলের পর যদি খুব বড় bullish ট্রেড হয় যাতে আগের bearish ক্যান্ডেলস্টিকের body টি bullish ক্যান্ডেলের body দ্বারা ঢাকা পড়ে যায়, তাহলে এই কম্বিনেশনকে Bullish Engulfing বলা হয়। সাধারণত downtrend মার্কেটের তলায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। এই প্যাটার্ন bullish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।

>Engulfing (Bearish): কোন uptrend মার্কেটে bullish ট্রেডের পর যদি খুব বড় bearish ট্রেড হয় যাতে আগের bullish ক্যান্ডেলস্টিকের body টি bearish ক্যান্ডেলের body দ্বারা ঢাকা পড়ে যায়, তাহলে এই কম্বিনেশনকে Bearish Engulfing বলা হয়। সাধারণত uptrend মার্কেটের চূড়ায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। এই প্যাটার্ন bearish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।

>Tweezer Bottom: কোন downtrend মার্কেটে কোন bearish ক্যান্ডেলের পরের ক্যান্ডেলটি যদি bullish হয় এবং উভয়ের low price যদি সমান হয় তাহলে, এই দুই ট্রেডের কম্বিনেশনকে Tweezer Bottom বলা হয়। সাধারণত downtrend মার্কেটের তলায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। সাধারণত downtrend মার্কেটে price হ্রাসের ভিন্ন মত হবার এই জন্যই প্যাটার্ন হয়ে থাকে। এই প্যাটার্ন bullish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।

>Tweezer Top: কোন uptrend মার্কেটে কোন bullish ক্যান্ডেলের পরের ক্যান্ডেলটি যদি bearish হয় এবং উভয়ের high price যদি সমান হয় তাহলে, এই দুই ট্রেডের কম্বিনেশনকে Tweezer Top বলা হয়। সাধারণত uptrend মার্কেটের চূড়ায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। সাধারণত uptrend মার্কেটে price বৃদ্ধির ভিন্ন মত হবার এই জন্যই প্যাটার্ন হয়ে থাকে। এই প্যাটার্ন bearish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।

>Piercing Line: কোন downtrend মার্কেটে কোন bearish ক্যান্ডেলের পরে কিছু গ্যাপ দিয়ে নিচ থেকে কোন bullish ক্যান্ডেল শুরু হয়ে যদি এর ক্লোজিং আগের bearish ক্যান্ডেলের body এর অর্ধেকের উপরে গিয়ে শেষ হয় তাহলে, এই কম্বিনেশনকে Piercing Line বলা হয়। সাধারণত downtrend মার্কেটের তলায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। এই প্যাটার্ন bullish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।

>Dark Cloud Cover: কোন uptrend মার্কেটে কোন bullish ক্যান্ডেলের পরে কিছু গ্যাপ দিয়ে উপর থেকে কোন bearish ক্যান্ডেল শুরু হয়ে যদি এর ক্লোজিং আগের bullish ক্যান্ডেলের body এর অর্ধেকের নিচে গিয়ে শেষ হয় তাহলে, এই কম্বিনেশনকে Dark Cloud Cover বলা হয়। সাধারণত uptrend মার্কেটের চূড়ায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। এই প্যাটার্ন bearish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে।

এই ডাবল ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলো আপনার শেয়ার বেচা-কেনার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। যদিও এইসব প্যাটার্নগুলো মনে রাখা এবং চার্টে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর ব্যাপার। তাই এই বিষয়ে চর্চা এবং ধৈর্যের বিকল্প নেই। আগামী সপ্তাহে ট্রিপল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে।

Technical Analysis – 6 'Triple Candlestick Pattern'- (27/07/2015) গত সপ্তাহের টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা ডাবল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আশা করি, আপনারা সবাই ডাবল ক্যান্ডেলস্টিক সম্বন্ধে একটা ধারণা পেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ট্রিপল ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

>Morning star: ট্রিপল ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্নের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্যাটার্ন হচ্ছে Morning star। এই ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্নটি মূলত মার্কেটের downtrend-এর শেষে দেখা যায়। এই প্যাটার্নের প্রথম ক্যান্ডেলষ্টিকটি বেশ বড় bearish ক্যান্ডেল হয়,এরপরের ক্যান্ডেলটির সাইজ প্রথম ক্যান্ডেলের তুলনায় আকারে বেশ ছোট(লাল বা সবুজ রঙের) থাকে। এই ছোট ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইস প্রথম ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইসের নিচে থাকে। এই ২য় ক্যান্ডেলটি bullish অথবা bearish হতে পারে। এই প্যাটার্নের সর্বশেষ বা ৩য় ক্যান্ডেলটি মার্কেটের trend direction নির্দেশ করে। এই ৩য় ক্যান্ডেলটি মাঝের ক্যান্ডেল থেকে আকারে অনেক বড় এবং বুলিশ হয়ে থাকে। সাধারণত দেখা যায় শেষের ক্যান্ডেলের ওপেন প্রাইস মাঝের (২নং) ক্যান্ডেলের থেকে কিছুটা উপরের দিকে gap দিয়ে bullish trade হয় এবং ক্লোজিং প্রাইস ১ম বিয়ারিশ ক্যান্ডেলটির ওপেন প্রাইসের কিছুটা নিচে থাকে। ১ম ও ৩য় ক্যান্ডেলের মাঝে কিছুটা নিচে আকারে বেশ ছোট ক্যান্ডেলটিকে Morning star বলা হয়।

>Evening star: মর্নিং স্টারের বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ত্রিপল ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্নের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্ন হলো Evening star। এই প্যাটার্নের প্রথম ক্যান্ডেলষ্টিকটি বেশ বড় bullish ক্যান্ডেল হয়, এরপরের ক্যান্ডেলটির সাইজ প্রথম ক্যান্ডেলের তুলনায় আকারে বেশ ছোট(লাল বা সবুজ রঙের) থাকে। এই ছোট ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইস প্রথম ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইসের উপরে থাকে। এই ২য় ক্যান্ডেলটি bullish অথবা bearish হতে পারে। এই প্যাটার্নের সর্বশেষ বা ৩য় ক্যান্ডেলটি মার্কেটের trend direction নির্দেশ করে। এই ৩য় ক্যান্ডেলটি মাঝের ক্যান্ডেল থেকে আকারে অনেক বড় এবং বিয়ারিশ হয়ে থাকে। সাধারণত দেখা যায় শেষের ক্যান্ডেলের ওপেন প্রাইস মাঝের (২নং) ক্যান্ডেলের থেকে কিছুটা নিচের দিকে gap দিয়ে bearish trade হয় এবং ক্লোজিং প্রাইস ১ম বুলিশ ক্যান্ডেলটির ওপেন প্রাইসের কিছুটা উপরে থাকে। ১ম ও ৩য় ক্যান্ডেলের মাঝে কিছুটা উপরে আকারে বেশ ছোট ক্যান্ডেলটিকে Evening star বলা হয়।

>Three white soldiers: কোন Downtrend মার্কেটে অথবা কোন Uptrend মার্কেটের শুরুতে যদি পরপর তিনটি বড় সাইজের bullish candlestick দেখা যায়, তবে এই কম্বিনেশনকে Three White Soldiers বলে। এই প্যাটার্ন শক্তিশালী bullish reversal সিগন্যাল প্রদান করে।

এই ক্ষেত্রে প্রতিটি candlestick এর opening আগের candle এর body range থেকে শুরু হয় এবং প্রতিটি trading এর আগের closing কে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এছাড়া এই candlestick তিনটির shadow খুব সামান্য পরিমাণেই থাকে।

>Three black crows: কোন Downtrend মার্কেটে অথবা কোন Uptrend মার্কেটের শুরুতে যদি পরপর তিনটি বড় সাইজের bearish candlestick দেখা যায়, তবে এই কম্বিনেশনকে Three Black Crows বলে। এই প্যাটার্ন শক্তিশালী bearish reversal সিগন্যাল প্রদান করে। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি candlestick এর opening আগের candle এর body range থেকে শুরু হয় এবং প্রতিটি trading এর আগের closing কে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এছাড়া এই candlestick তিনটির shadow খুব সামান্য পরিমাণেই থাকে।

>Three inside up: এই ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্ন Downtrend মার্কেটের শেষে দেখতে পাওয়া যায়। এই প্যাটার্নের ১ম ক্যান্ডেলটি Downtrend মার্কেটের তলায় সর্বশেষ বেশ বড় বিয়ারিশ ক্যান্ডেল হতে হবে।

এর পরের ক্যান্ডেলটিকে অবশ্যই বুলিশ হতে হবে এবং এর ক্লোজিং আগের ক্যান্ডেলের মাঝ বরাবর হতে হবে। Three inside up ক্যান্ডেল প্যাটার্ন confirm করার জন্য ২য় ক্যান্ডেলের পরে সর্বশেষ ক্যান্ডেলটির ক্লোজিং অবশ্যই ১ম ক্যান্ডেলের High price এর উপরে হতে হবে। এই প্যাটার্ন শক্তিশালী Bullish Reversal Signal নির্দেশ করে থাকে।

>Three inside down: এই ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্ন Uptrend মার্কেটের চূড়ায় দেখতে পাওয়া যায়। এই প্যাটার্নের ১ম ক্যান্ডেলটিকে Uptrend মার্কেটের চূড়ায় সর্বশেষ বেশ বড় বুলিশ ক্যান্ডেল হতে হবে। এর পরের ক্যান্ডেলটিকে অবশ্যই বিয়ারিশ হতে হবে এবং এর ক্লোজিং আগের ক্যান্ডেলের মাঝ বরাবর হতে হবে। Three inside down ক্যান্ডেল প্যাটার্ন confirm করার জন্য ২য় ক্যান্ডেলের পরে সর্বশেষ ক্যান্ডেলটির ক্লোজিং অবশ্যই ১ম ক্যান্ডেলের low price এর নিচে হতে হবে। এই প্যাটার্ন শক্তিশালী Bearish Reversal Signal নির্দেশ করে থাকে। আগামী সপ্তাহে ক্যান্ডেলস্টিকের শেষ পর্বের আর্টিকেল প্রকাশিত হবে।

Technical Analysis – 7 টেকনিক্যাল এনালাইসিসের গত আর্টিকেলগুলোতে আমরা ক্যান্ডেলস্টিকের পরিচিত ও বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডেলস্টিক নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আশা করি, আপনারা সবাই বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডেলস্টিক সম্বন্ধে একটা ধারণা পেয়েছেন। আজকের টেকনিক্যাল এনালাইসিসে ভলিউম এনালাইসিস নিয়ে আপনাদেরকে প্রাথমিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। আর আর্টিকেলের শেষাংশে আমরা বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে আপনাদেরকে আবারো মনে করিয়ে দেবো।

>Volume: স্টক মার্কেটে candlestick এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ indicator হল Volume। Volume বলতে আমরা কী বুঝি? সাধারণত Volume হচ্ছে একটি দিনের লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা। চার্ট থেকে শেয়ারের দৈনিক volume ছাড়াও সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, বাৎসরিক volume দেখা যায়। বেশি পরিমাণের Volume একটি শেয়ারের সক্রিয়তা প্রকাশ করে থাকে। Volume-এর গতিবিধি বোঝার জন্য (আপ অথবা ডাউন), অ্যানালিস্টরা সাধারণত Volume Bar দেখে থাকেন। আর এই Volume Bar গুলো একটি চার্টের নিচের দিকে অবস্থান করে। এই Volume Bar গুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কতগুলো শেয়ার লেনদেন হয়েছিল এবং ট্রেন্ডটি কেমন ছিল সেটি প্রকাশ করে। কোন শেয়ারের লেনদেন বা Volume -এ বিভিন্ন সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে যা সেইসব শেয়ারের টেকনিক্যাল বা ফান্ডামেণ্টাল পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে। কোন শেয়ার এনালাইসিসের ক্ষেত্রে volume কে গুরুত্ব দিলে ভালো মুনাফা করা যায় এবং ব্যবসার ঝুঁকিও কমানো যায়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই Volume বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন এবং এই Volume অ্যানালাইসিস করে আপনাদের কী লাভ হবে। Volume টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এই Volume’ই একটি ট্রেন্ড এবং চার্ট প্যাটার্নগুলোকে নিশ্চিত করে থাকে। দাম যদি ঊর্ধ্বমুখী অথবা নিম্নমুখী হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে বেশি পরিমাণ Volume-ও দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি দেখেন, একটি শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে, কিন্তু সেই সঙ্গে Volume সেই পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে না, তখন আপনি ধরে নিতে পারেন এই দাম বৃদ্ধিটি একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি দিন টিকবে না।

ধরুন, আপনি দেখলেন, একটি শেয়ার অনেক দিন ডাউন ট্রেন্ড থাকার পর হুট করে একদিন ৫% দাম বৃদ্ধি পেল। আপনি কি এই বৃদ্ধিকে একটি Reversal Trend ধরবেন? এ ক্ষেত্রে ভলিউম অ্যানালাইসিস আপনাকে সাহায্য করবে। যদি ভলিউম আগের দিনগুলোর চেয়ে বেশি হয়, তবে আপনি এটিকে Reversal Trend হিসেবে ধরতে পারেন। কিন্তু যদি ভলিউম আগের দিনগুলোর চেয়ে বেশি না হয়, তবে আপনার বুঝতে হবে, এটি কোনো Reversal Trend নয়। সুতরাং ভলিউমের সম্পর্ক সব সময় ট্রেন্ডের সঙ্গে। যখন দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে, তখন ভলিউমও বৃদ্ধি পাবে। যখন দাম নিম্নমুখী থাকবে, তখন ভলিউমও কম থাকবে। যদি এই ভলিউম ও ট্রেন্ডের মধ্যে সাদৃশ্য না থাকে, তবে এটি একটি দুর্বল ট্রেন্ড বলে বিবেচিত হয়। কোন কোম্পানির শেয়ার নতুন করে ক্রয় করতে গেলে অবশ্যই candlestick সহ অন্যান্য indicator এর পাশাপাশি Volumes-এর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, অনেকসময় স্মার্ট মানি আমাদের প্রভাবিত করার জন্য Low Volumes-এ সাময়িকভাবে শেয়ারের মূল্য বাড়িয়ে দিতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে শেয়ারের মূল্য ১-২ দিন পর আবার নিম্নগামী হয়। আগামিপর্বে বুলিশ এবং বিয়ারিশ Volume কিভাবে চিনবেন এবং দৈনিক ভলিউমের গড় নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে।

>কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্ডেলস্টিকঃ >Doji Candlestick: যখন কোন Candlestick-এর Opening Price এবং Closing Price এক হয়ে যায়, তখন তাকে Doji বলা হয় (উপরে-নীচে যত বড় Shadow হোক এটা দেখার বিষয় না।) Doji Candlestick সিদ্ধান্তহীনতাকে ইঙ্গিত করে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সিদ্ধান্তহীনতাই Doji রূপ ধারণ করে। মার্কেটের ভিন্ন ভিন্ন পরিস্তিতির কারণে অনেক রূপে গঠিত হয়, যেমনঃ Long-legged Doji, Dragonfly Doji, Gravestone Doji, Four Price Doji. >Hammer: এই ক্যান্ডেলষ্টিক মূলতঃ তখনই তৈরি হয় যখন কোন শেয়ার এর open, high এবং close প্রায় এক সমান হয়ে যায়। এই ক্যান্ডেলষ্টিকটি দেখতে হাতুরির মতো হয় এবং মূল বডি-র সাইজের দ্বিগুণ আকারের চেয়েও বড় lower shadow থাকে। মূলতঃ downtrend মার্কেটের তলায় এই candlestick দেখা যায় এবং শক্তিশালী uptrend reversal signal দেয়, তবে reversal নিশ্চিত হওয়ার জন্য Hammer এর পর bullish candlestick এর উপস্থিতি জরুরী। >Hanging Man: এই ক্যান্ডেলষ্টিক মূলতঃ Hammer এর মত, তবে ভিন্ন অবস্থানের জন্য ভিন্ন নাম হয়। Uptrend মার্কেটের চূড়ায় এই candlestick দেখা যায় এবং দেখতে ঝুলন্ত মানুষের মতো হয় । এটি শক্তিশালী downtrend reversal signal দেয়, তবে reversal নিশ্চিত হওয়ার জন্য Hanging man এর পর bearish candlestick এর উপস্থিতি জরুরী। >Inverted Hammer: যখন কোন শেয়ার এর open, high এবং close প্রায় এক সমান হয়ে যায় তখন Inverted Hammer candlestick তৈরি হয়। এটি দেখতে Hammer candlestick এর ঠিক বিপরীত। এর upper shadow মূল body এর সাইজের দ্বিগুণ হয়। মূলতঃ downtrend মার্কেটের তলায় ক্যান্ডেলষ্টিকটি দেখা যায় এবং uptrend reversal signal দেয়, তবে শক্তিশালী reversal signal এর জন্য Inverted Hammer এর পর bullish candlestick এর উপস্থিতি জরুরী। >Shooting Star: Inverted Hammer এবং Shooting Star candlestick দেখতে পুরোপুরিভাবে একই রকম, তবে এদের অবস্থানের ভিন্নতার জন্য এদের বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য হয়ে থাকে। এটি uptrend মার্কেটের চূড়ায় দেখা যায় এবং শক্তিশালী downtrend reversal signal দেয়। >Bullish Marubozu: কোন ক্যান্ডেলষ্টিকে সামান্য পরিমাণেও shadow না থাকলে ঐ ক্যান্ডেলকে Marubozu বলা হয়। যে Marubozu ক্যান্ডেলষ্টিকের opening price=low এবং closing price=high হয় তাকে Bullish Marubozu বলা হয়। এই ক্যান্ডেলষ্টিক তৈরি হলে মার্কেটে uptrend continue করে থাকে। তবে এর পরে বড় bearish candle আসলে bearish reversal এর ঘটনা ঘটতে পারে। >Bearish Marubozu: এই ক্যান্ডেলষ্টিকটি Bullish Marubozu-এর বিপরীত বৈশিষ্ট্যের। এই ক্যান্ডেলষ্টিক তৈরি হলে মার্কেটে downtrend continue করে থাকে। তবে এর পরে বড় bullish candle আসলে bullish reversal এর ঘটনা ঘটতে পারে। >Spinning Top (Bullish): কোন ট্রেডের price অনেক উঠা-নামা করলেও opening price এবং closing price উভয়ের মান যদি High এবং low এর মাঝামাঝি এবং নিকটবর্তী হয় তখন, ঐ ট্রেডের candlestick টিকে Spinning Top (লাটিম) বলা হয়। Spinning Top candlestick এর মূল body এর তুলনায় upper এবং lower shadow বড় হয়ে থাকে। যখন কোন downtrend মার্কেটের তলায় Spinning Top দেখতে পাওয়া যায় এবং পরের ক্যান্ডেলটি শক্তিশালী bullish candlestick হয়ে থাকে তখন Spinning Top ক্যান্ডেলটি bullish reversal signal প্রদান করে থাকে। >Spinning Top (Bearish): Spinning Top (Bullish)-এর বিপরীত বৈশিষ্ট্যের। যখন কোন uptrend মার্কেটের তলায় Spinning Top দেখতে পাওয়া যায় এবং পরের ক্যান্ডেলটি শক্তিশালী bearish candlestick হয়ে থাকে তখন Spinning Top ক্যান্ডেলটি bearish reversal signal প্রদান করে থাকে। >Engulfing (Bullish): কোন downtrend মার্কেটে bearish ক্যান্ডেলের পর যদি খুব বড় bullish ট্রেড হয় যাতে আগের bearish ক্যান্ডেলস্টিকের body টি bullish ক্যান্ডেলের body দ্বারা ঢাকা পড়ে যায়, তাহলে এই কম্বিনেশনকে Bullish Engulfing বলা হয়। সাধারণত downtrend মার্কেটের তলায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। এই প্যাটার্ন bullish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে। >Engulfing (Bearish): Bullish Engulfing -এর বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ক্যান্ডেলস্টিক। uptrend মার্কেটের চূড়ায় এই প্যাটার্ন দেখা যায়। এই প্যাটার্ন bearish reversal সিগন্যাল প্রদান করে থাকে। >Morning star: ট্রিপল ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্নের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্যাটার্ন Morning star। মার্কেটের downtrend-এর শেষে এই প্যাটার্নটি দেখা যায়। ১ম ক্যান্ডেলষ্টিকটি বেশ বড় bearish ক্যান্ডেল হয়, এরপরের ক্যান্ডেলটির সাইজ ১ম ক্যান্ডেলের তুলনায় আকারে বেশ ছোট (লাল/সবুজ রঙের) থাকে। এই ছোট ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইস ১ম ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইসের নিচে থাকে। এই প্যাটার্নের সর্বশেষ/৩য় ক্যান্ডেলটি মার্কেটের trend direction নির্দেশ করে। এই ৩য় ক্যান্ডেলটি মাঝের ক্যান্ডেল থেকে আকারে অনেক বড় এবং বুলিশ হয়। সাধারণত দেখা যায় শেষের ক্যান্ডেলের ওপেন প্রাইস মাঝের (২নং) ক্যান্ডেলের থেকে কিছুটা উপরের দিকে gap দিয়ে bullish trade হয় এবং ক্লোজিং প্রাইস ১ম বিয়ারিশ ক্যান্ডেলটির ওপেন প্রাইসের কিছুটা নিচে থাকে। ১ম ও ৩য় ক্যান্ডেলের মাঝে কিছুটা নিচে আকারে বেশ ছোট ক্যান্ডেলটিকে Morning star বলা হয়। >Evening star: মর্নিং স্টারের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ত্রিপল ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্ন হল Evening star। এই প্যাটার্নেও ৩টি ক্যান্ডেল থাকে। ১ম ও ৩য় ক্যান্ডেলের মাঝে কিছুটা উপরে আকারে বেশ ছোট ক্যান্ডেলটিকে Evening star বলা হয়। >Three white soldiers: কোন Downtrend বা Uptrend মার্কেটের শুরুতে যদি পরপর ৩টি বড় সাইজের bullish candlestick দেখা যায়, তবে এই কম্বিনেশনকে Three White Soldiers বলে। এই প্যাটার্ন শক্তিশালী bullish reversal সিগন্যাল প্রদান করে। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি candlestick এর opening আগের candle এর body range থেকে শুরু হয় এবং প্রতিটি trading এর আগের closing কে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এছাড়া এই candlestick তিনটির shadow খুব সামান্য পরিমাণেই থাকে। >Three black crows: Three white soldier’s এর বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ক্যান্ডেলষ্টিক প্যাটার্ন এবং শক্তিশালী bearish reversal সিগন্যাল দেয়। এই ক্ষেত্রে প্রতিটি candlestick এর opening আগের candle এর body range থেকে শুরু হয় এবং প্রতিটি trading এর আগের closing কে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।

Technical Analysis 8 (10/08/2015) 'বুলিশ-বিয়ারিশ ভলিউম এবং ইন্ডিকেটর' চার্টে যে কোন শেয়ার নিয়ে এনালাইসিস করতে গিয়ে ভলিউম, ক্যান্ডেলষ্টিকের পাশাপাশি বেশ কিছু ইন্ডিকেটরও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মূলত এইসব ইন্ডিকেটরের কাজ হল শেয়ারের overbought (অতিমুল্লায়িত) বা oversold (অবমুল্লায়িত) অবস্থান নির্দেশ করা। তবে শুধুমাত্র এইসব ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে কোন শেয়ারের ক্রয় বা বিক্রয় সিদ্ধান্ত আপনি নিতে পারবেন না। ভলিউম, ক্যান্ডেলষ্টিক, সাপোর্ট-রেজিস্টান্স ইত্যাদি এনালাইসিস যখন আপনাকে কোন একটি শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করতে ভাবাবে, তখন চার্টে এইসব ইন্ডিকেটরের অবস্থান আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ভালো করে সাহায্য করবে।

এইসব ইন্ডিকেটরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ইন্ডিকেটর MACD, MFI এবং RSI নিয়ে আজ আপনাদের প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে। তবে তাঁর আগে গত সপ্তাহে আমরা আপনাদেরকে ভলিউম এর উপর প্রাথমিক ধারণা দিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আপনাদেরকে বুলিশ-বিয়ারিশ ভলিউম কিভাবে চিনতে পারবেন এবং Volume ট্র্যাকিং নিয়ে আলোচনা করব।

>Identify Bullish & Bearish Volume: এখন কীভাবে আমরা বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম চিহ্নিত করতে পারি। শুধু তাই নয়, আমরা এই বুলিশ ও বিয়ারিশ ভলিউম দেখে বাজারের চাহিদা ও জোগান সম্পর্কেও ধারনা পেতে পারি। যখন আপনি দেখেন বাজারে একটি শেয়ারের দাম বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও বৃদ্ধি পাচ্ছে- তার মানে কী হচ্ছে? বাজারে কি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে?

হ্যাঁ, আপনি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজেই দিতে পারবেন, যদি আপনি ভলিউম এনালাইসিস জানেন। যেমন ধরুন, শেয়ারটির দাম বাড়ছে এবং প্রারম্ভিক এবং সমাপনী মূল্যের মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ বেশি এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এই ভলিউমটিকে বুলিশ ভলিউম বলতে পারি। কারণ, সেই সময় বাজারে চাহিদা বেশি ছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে দামও বাড়ছিল। আবার ঠিক একইভাবে যখন একটি শেয়ারের দাম কম ছিল এবং প্রারম্ভিক ও সমাপনী মূল্যের মধ্যেও পার্থক্য বেশি ছিল। কিন্তু ভলিউম আগের দিনের থেকেও বেশি ছিল। এই ভলিউমটিকে আমরা বিয়ারিশ ভলিউম বলতে পারি। তার কারণ হচ্ছে দাম কমছে, সেই সঙ্গে শেয়ারের জোগানও বাড়ছে। লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, আস্তে আস্তে শেয়ারটির দাম কমে যাচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে বাজারে জোগান রয়েছে বেশি, কিন্তু সেই তুলনায় চাহিদা বাড়ছে না। ফলে বিক্রয়ের চাপ বেশি এবং দাম কমছে। সুতরাং আমরা বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম সহজেই চিহ্নিত করতে পারব। কিছু বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে সেই বিষয়গুলো হচ্ছে, বাজারে বিয়ারিশ ভলিউম তখনই হয়, যখন প্রোফেশনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা সেই শেয়ারটি কিনতে আগ্রহী হয় না এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও চাহিদা থাকে না। একইভাবে বুলিশ ভলিউম হয়, যখন দেখা যায়, প্রোফেসনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা সেই শেয়ারটি কিনতে আগ্রহী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও চাহিদা থাকে।

>Volume এর সুবিধা: Volume ট্র্যাকিং- এর ২ টি উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিম্নরূপঃ >১. support & resistance: জানালায় ১টি ঢিল মারলে জানালার কাঁচ ভাঙ্গে না, কিন্তু যদি ১০০ টি ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির ঢিল মারা হয় তাহলে জানালার কাঁচ ভাঙ্গার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায়। ঠিক তেমনিভাবে, কেউ যদি কোন স্টকের ১০০ শেয়ার কিনে তাহলে তার এই ক্রয়ে সেই শেয়ারের উপর কোন প্রভাব পরবে না। কিন্তু, ১০০০ বিনিয়োগকারী যদি সেই শেয়ারটি বিভিন্ন পরিমাণে ক্রয় করেন তাহলে ১ জন বিনিয়োগকারীর ক্রয়ের তুলনায় ১০০০ বিনিয়োগকারীর ক্রয়ের পরিমাণ শেয়ারটির মূল্য বাড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। এই মূল্য বৃদ্ধি সাপোর্ট বা রেজিস্টান্স যেকোনো এরিয়াতে হতে পারে। দীর্ঘ বা সাময়িক ডাউনট্রেন্ডের পর সাপোর্ট এরিয়াতে ভলিউম বাড়ার সাথে সাথে শেয়ারের মূল্য বাড়লে বুঝতে হবে শেয়ারটির পূর্বের/বর্তমান নতুন সাপোর্ট লাইনে শেয়ারটির সাপোর্ট রয়েছে এবং এই শেয়ারে ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করা যাবে। অন্যদিকে, যদি শেয়ারটির মূল্য ভালো ভলিউম নিয়ে রেজিস্টান্স লাইন অতিক্রম করে যায় তাহলে বুঝতে হবে মার্কেটে শেয়ারটির চাহিদা বাড়ছে এবং বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হচ্ছে। এই উভয় অবস্থার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেবার জন্য Volume এনালাইসিস গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। >২. দৈনিক ভলিউমের গড়ঃ কোন শেয়ারে বিনিয়োগের পূর্বে তার প্রতিদিনের ভলিউম অথবা ১৫-২০ দিনের দৈনিক ভলিউমের গড় নিয়ে এনালাইসিস করলে আপনি মার্কেটে শেয়ারটির অবস্থা সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাবেন। কোন শেয়ারের গড় ভলিউম যত বাড়বে ততই শেয়ারটির মূল্যে তার প্রভাব পড়বে। এভাবে গড় ভলিউম এনালাইসিস করলে যেকোনো শেয়ারের accumulation বা distribution অবস্থা বেশ ভালভাবেই বুঝতে পারা যায় এবং ভবিষ্যতে শেয়ার মূল্য কোন দিকে যাবে তা অনুমান করতে সাহায্য করে। এভাবে ভলিউম এনালাইসিসের মাধ্যমে trend বোঝার জন্য এবং accumulation, distribution identify করার জন্য চর্চার দরকার। চর্চা করতে করতে দক্ষ হয়ে গেলে volumes analysis দ্বারা শেয়ার থেকে ভালো মুনাফা করা বেশ সহজ হয়ে যাবে। >ইন্ডিকেটরঃ

>MACD: Moving Average Convergence/Divergence Oscillator। ১৯৭০ সালের শেষের দিকে এটি Gerald Appel আবিষ্কার করেন। এর উচ্চারণ ‘Mac-Dee’ অথবা ‘M-A-C-D’ । এই ইন্ডিকেটরে ২টি ভিন্ন রঙের (চার্টে লাল এবং সাদা) লাইন থাকে এবং লাইন ২টির এভারেজ ডাটা থেকে হলুদ রঙের লম্বা বার বা Histogram তৈরি হয়। টেকনিক্যাল এনালাইসিসে MACD (Moving Average Convergence Divergence) একটা প্রধান (Leading Indicator)। MACD ইন্ডিকেটরে যে ভ্যালুগুলো সাধারনত ব্যবহার করা হয়, তা হলো- 12,26,9। 12 দিনের Exponential Moving Average(EMA) এর মান থেকে 26 দিনের (EMA) মান বিয়োগ করে MACD ক্যালকুলেট করা হয় আর 9 দিনের EMA মানকে সিগন্যাল লাইন বলা হয় যা শেয়ারের ঊর্ধ্বগতি এবং নিম্নগতির সিগন্যাল দেয়। MACD এর মূল লাইন (লাল রং) সিগন্যাল লাইনকে (সাদা রং) ক্রস করে নীচের দিকে নামলে শেয়ারের দাম কমে আর ক্রস করে উপরের দিকে উঠলে শেয়ারের দাম বাড়ে।

>MFI- Money Flow Index: কোন একটি শেয়ারের মূল্য, ভলিউম এবং RSI ইন্ডিকেটরের কিছু ফর্মুলা নিয়ে একত্র করে এই MFI ইন্ডিকেটর তৈরি হয়। কোন শেয়ারের ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের ক্রয়-বিক্রয়ের চাপ এই MFI ইন্ডিকেটর দিয়ে দেখা যায়। কোন শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান বৃদ্ধি না পায় তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর নিম্নগামী হবে। আবার, কোন শেয়ারের মূল্য পতনের সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান না কমে তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর ঊর্ধ্বমুখী হবার সম্ভাবনা আছে। রেঞ্জঃ এই MFI ইন্ডিকেটরের সর্বনিম্ন মান ০ এবং সর্বোচ্চ ১০০। এর মান ২০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি oversold এবং মান ৮০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি overbought বলে ধরে নেয়া হয়।

>RSI- Relative Strength Index: RSI হচ্ছে কোন শেয়ারের overbought/oversold অবস্থা নির্ণয় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্ডিকেটর। ১৯৭৮ সালে বিখ্যাত টেকনিক্যাল এনালিস্ট J. Welles Wilder (Mechanical Engineer) তাঁর New Concepts in Technical Trading Systems বইয়ে এই ইন্ডিকেটরকে উপস্থাপন করেন। রেঞ্জঃ এই ইন্ডিকেটরের সর্বনিম্ন মান ০ এবং সর্বোচ্চ ১০০। RSI এর মান ৩০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি oversold অবস্থায় আছে বলে ধরা হয় এবং মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। (চিত্র-৪) অপরদিকে, RSI এর মান ৭০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি overbought বলে ধরে নেয়া হয় এবং মূল্য সংশোধনের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। তবে সব সময় যে RSI ৩০ হলে শেয়ারের দাম বাড়বে এবং ৭০ হলে শেয়ারের দাম কমবে তা ভাবা ঠিক নয়। মার্কেটে চাহিদা আর যোগানের উপর ভিত্তি করে শেয়ারের দাম পরিবর্তিত হয়। আগামী সপ্তাহের টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা RSI, MFI এবং MACD-এর ফর্মুলা, ব্যবহারবিধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

Technical Analysis 9 (17/08/2015) 'ইন্ডিকেটর (RSI, MFI এবং MACD)' গত সপ্তাহে আমরা আপনাদেরকে RSI, MFI এবং MACD ইন্ডিকেটরগুলো কি এবং এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছিলাম। আজ আপনাদের এদের সম্পর্কে আরও একটু বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করবো; যাতে করে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে এদের কিভাবে, কখন ব্যবহার করা যায় এ সম্পর্কে আপনাদের পরিষ্কার ধারণা সৃষ্টি হয়। তবে শুরুতেই বলে রাখছি সম্পূর্ণ ইন্ডিকেটরের উপর নির্ভর করে ট্রেড করা বোকামি হবে আর ইন্ডিকেটর থেকে ট্রেড কনফার্মেশন পাবার জন্য ডাইভারজেন্স সম্পর্কেও ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। সত্যি কথা বলতে ডাইভারজেন্স জানলে ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ট্রেড করা অনেক সহজ হয়ে যায়। ডাইভারজেন্স হচ্ছে শেয়ারের দামের বিপরীতে এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ইন্ডিকেটরের (MACD/RSI/MFI) এর বিপরীতমুখী আচরণ। >RSI-Relative Strength Index: গত সপ্তাহে আপনাদেরকে জানিয়েছি RSI হচ্ছে কোন শেয়ারের overbought/oversold অবস্থা নির্ণয় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্ডিকেটর যা ১৯৭৮ সালে বিখ্যাত টেকনিক্যাল এনালিস্ট J. Welles Wilder তাঁর New Concepts in Technical Trading Systems বইয়ে আগের থেকে আরো উন্নত করে উপস্থাপন করেন। এই ইন্ডিকেটরের পুরো নাম দেখে আপনাদের মনে হতে পারে এটি জেনারেল ইন্ডেক্স এর সাথে কোন শেয়ারের মুভভেন্ট এর তুলনা করে থাকে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি শেয়ারটির নিজস্ব অভ্যন্তরীণ শক্তির ( ফান্ডামেন্টাল & টেকনিক্যাল) পরিমাণকে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। এই ইন্ডিকেটরের এই বৈশিষ্ট্যের জন্য এর আরেকটি নাম হতে পারে "Internal Strength Index." যখন Wilder RSI কে ডেভেলপ করে আরও উন্নত করলে তখন তিনি এটার আদর্শ মান ১৪ দিনেরটিকে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে ১৪ দিনের RSI মানের পাশাপাশি ৯ আর ১৫ দিনের RSI ভ্যালুও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনি কোন ভ্যালু ব্যবহার করবেন তা চার্টের সাহায্যে ঠিক করে নিবেন। হয়তো আপনি ১০ দিনের RSI ভ্যালুতে ভালো রেজাল্ট পেতে পারেন। RSI মান মূলত শেয়ারের মূল্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত যার রেঞ্জ হচ্ছে ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত। সাধারণত সবাই কোন শেয়ারের RSI মান ৩০ হলে সেটায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় আর মান ৭০ এর ঘরে চলে গেলে বিক্রি করার প্রবণতা দেখায়। তবে RSI এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হল ডাইভারজেন্স খুঁজে বের করাতে। ডাইভারজেন্স কি তা আপনাদের শুরুতেই বলেছি এবং এও বলেছি যে ইন্ডিকেটর নিয়ে ট্রেড করতে গেলে ডাইভারজেন্স জানতে হবে এবং প্রয়োগও করতে হবে। যাই হোক, TA এর নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি এখনি ডাইভারজেন্স শেখার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত নন। ডাইভারজেন্স ছাড়া আপনি RSI খুব সহজে যেইভাবে ব্যবহার করতে পারেন তা হল RSI এর মান ৩০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি ক্রয় এবং RSI এর মান ৭০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি বিক্রয় করা। তবে সব সময় যে RSI ৩০ হলে শেয়ারের দাম বাড়বে এবং ৭০ হলে শেয়ারের দাম কমবে তা ভাবা ঠিক নয়। মার্কেটে চাহিদা আর যোগানের উপর ভিত্তি করে শেয়ারের দাম পরিবর্তিত হয়। RSI নির্ণয় করার সূত্রঃ RSI গননা করার জন্য প্রথমে আপনাকে RS নির্ণয় করতে হবে। RS নির্ণয় করার ফর্মুলা নিচে দেয়া হলঃ RS = Average Gain / Average Loss এভারেজ গেইন ও এভারেজ লস নির্ণয় করার শেষ ১৫টি পিরিয়ড এর গেইন অথবা লস নির্ণয় করতে হয়। এজন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরন করা হয়ঃ Average Gain = Sum of Gains over the past 15 periods / 15 Average Loss = Sum of Losses over the past 15 periods / 15 এবার আপনি RS এর ভ্যালু থেকে RSI নির্ণয় করতে পারবেন। RSI নির্ণয় করার ফর্মুলাঃ RSI = 100 – (100/1 + RS) RSI নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে চাইলে নিচের লিঙ্কে গিয়ে বইটি পড়তে পারেনঃ http://books.mec.biz/tmp/books/218XOTBWY3FEW2CT3EVR.PDF >MFI (Money Flow Index): এই ইন্ডিকেটরের ফর্মুলাতে শেয়ারের ক্রয় ও বিক্রয় চাপ বোঝাতে শেয়ারের মূল্য ও ভলিউমের ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে Gene Quong এবং Avrum Soudack এর আবিষ্কৃত Money Flow Index ইন্ডিকেটরটি সব দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর ব্যবহার বেশ সহজ। MFI এর আরেক নাম volume-weighted RSI । এর নামের মধ্যেই এর দ্বারা কি ধরণের এনালাইসিস করা হবে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। Money Flow অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোন শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে নাকি কমে যাচ্ছে সেই ব্যাপারটাই এই ইন্ডিকেটরের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কোন শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি সেই শেয়ারের MFI ইন্ডিকেটরের মান বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝা যায় শেয়ারটিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আছে এবং এ থেকে মুনাফা পাবার সম্ভাবনা আছে। আবার কোন শেয়ারের মূল্য হ্রাসের সাথে সাথে যদি সেই শেয়ারের MFI ইন্ডিকেটরের মান হ্রাস পায় তাহলে বুঝা যায় শেয়ারটিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই এবং এ থেকে মুনাফা পাবার সম্ভাবনাও আপাতত নেই। দেখলেন তো পড়তে গিয়েই কি সহজে মুনাফা করে ফেললেন এই MFI দিয়ে!!!! এবার, MFI এর একটু কঠিন রূপ সম্পর্কেও বলি, পড়ুন ও মনে রাখুন ভবিষ্যতে খুব কাজে লাগবে। কোন শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান বৃদ্ধি না পায় তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর নিম্নগামী হবে। আর, কোন শেয়ারের মূল্য পতনের সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান না কমে তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর ঊর্ধ্বমুখী হবার সম্ভাবনা আছে। এই ইন্ডিকেটরের সাহায্যে শেয়ারের রিভার্সাল অবস্থা বেশ সহজেই ধরতে পারা যায়। রেঞ্জঃ এই MFI ইন্ডিকেটরের সর্বনিম্ন মান ০ এবং সর্বোচ্চ ১০০। এর মান ২০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি oversold এবং মান ৮০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি overbought বলে ধরে নেয়া হয়। oversold হলে শেয়ারটিতে দেখে শুনে বিনিয়োগ করা যেতে পারে এবং overbought হলে নতুন ক্রয়ের আগে ভাবুন আর যদি বুদ্ধিমানের মত আগেই কিনে থাকেন তাহলে ভাই খুশিতে লাভটা নিতে ভুলে যেয়েন না। >MACD: এই ইন্ডিকেটরে ২টি ভিন্ন রঙের লাইন থাকে এবং লাইন ২টির এভারেজ ডাটা থেকে হলুদ রঙের লম্বা বার বা Histogram তৈরি হয়। MACD ইন্ডিকেটরের ভ্যালুগুলো সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে।

MACD খুব সহজে ব্যবহার করার ৩টি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি রয়েছেঃ ১. ক্রসওভারঃ আমরা আগেই জেনেছি MACD তে ২টি ভিন্ন রঙের লাইন থাকে। ১টি লাল রঙের একে MACD লাইন বলে আরেকটি লাইন সাদা বা লাল ছাড়া অন্যান্য রঙের হয়ে থাকে যাকে সিগন্যাল লাইন বলে। MACD লাইন যখন সিগন্যাল লাইনকে ক্রস করে উপরের দিকে উঠতেই থাকে তখন তা যে কোন শেয়ারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থাকে নির্দেশ করে। ঠিক বিপরীতভাবে, যখন MACD লাইন সিগন্যাল লাইনকে ক্রস করে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন তা শেয়ারের নিম্নমুখী অবস্থা বোঝায়। অনেক ট্রেডার MACD লাইন সিগন্যাল লাইনকে ক্রস করে উপরের দিকে উঠলেও বেশ কিছুদিন এর মুভমেন্ট দেখে বিনিয়োগে যান। এর কারণ হচ্ছে, অনেক সময় MACD লাইনের ফেক ব্রেকআউট হয়। ২. ডাইভারজেন্সঃ এটা শুধু এখন পড়ে যান। টেকনিক্যাল এনালাইসিসের প্রাথমিক জ্ঞান ভালভাবে আয়ত্ত করার পর এডভান্সড লেভেলে এটার সঠিক প্রয়োগ ঘটাতে পারবেন। এই ডাইভারজেন্স ব্যাপারটা তখনই ঘটে যখন শেয়ারের মূল্যের সাথে MACD লাইনের গতিপথ ভিন্ন হয়। অনেক সময় দেখা যায়, শেয়ারের মূল্য বাড়তেই থাকে কিন্তু MACD লাইন সিগন্যাল লাইনের উপরে গিয়ে আরও উপরে না যেয়ে আস্তে আস্তে নীচের দিকে যায়। এই ঘটনাকেই ডাইভারজেন্স বলে। ৩. ড্রামাটিক রাইজ & ফলঃ প্রায়শই দেখা যায় মার্কেটে হঠাৎ করে ২ বা ৩টি শেয়ার আচমকাই ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। অনেক সময় এদের ১-২ সপ্তাহে ৮০-১০০% মূল্য বৃদ্ধি পায়। এইসব শেয়ারের ক্ষেত্রে দেখা যায় MACD লাইনেও হঠাৎ উল্লম্ফন ঘটে। তাহলে এইসব শেয়ার ক্রয় করার ক্ষেত্রে MACD কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? সাধারণত সুইং ট্রেডাররা এইসব শেয়ারের ক্রয় করার আগে MACD লাইনের আগের অবস্থান দেখে নেন। দেখা যায় MACD লাইন অনেকদিন (৬-১২ মাস) সাইডলাইনে ছিল। হঠাৎ উল্লম্ফন হবার পর অভিজ্ঞ ট্রেডার হলে ১ বা ২টা ট্রেড হবার পরই তারা শেয়ার ক্রয় করে স্বল্প সময়ে ৪০-৫০% মুনাফা করে ফেলেন। এইসব শেয়ারের যেমন ড্রামাটিক রাইজ হয় ঠিক তেমনি ড্রামাটিক ফলও হয়। এই সময়েও MACD লাইন সিগন্যাল লাইনের নীচের দিকে হঠাৎ করে মূল্যের সাথে সাথে অনেক নিচে পড়ে যায়। MACD ইন্ডিকেটর চার্টিস্টদের কাছে বেশ পছন্দের ইন্ডিকেটর কারণ এর সাহায্যে একি সাথে যে কোন শেয়ারের ট্রেন্ড এবং শেয়ারটির মুভমেন্টের মোমেন্টাম সহজেই বুঝতে পারা যায়।আপনি এই ইন্ডিকেটর দিয়ে দৈনিক চার্ট এনালাইসিসের পাশাপাশি সাপ্তাহিক এবং মাসিক এনালাইসিসও করতে পারবেন। তবে, MACD দিয়ে দৈনিক চার্ট এনালাইসিস করা সহজ হলেও সাপ্তাহিক এবং মাসিক এনালাইসিস করতে অনেক চর্চা ও দক্ষতার প্রয়োজন। বিভিন্ন স্টক সফটওয়্যার এবং অনলাইন স্টক এনালাইসিস প্ল্যাটফর্ম গুলোতে MACD এর ডিফল্ট ভ্যালু (১২,২৬,৯) দেওয়া থাকে। এই ভ্যালুতে ক্রসিং সিগন্যাল একটু দেরিতে আসে। তাই, অভিজ্ঞ চার্টিস্টরা এই ভ্যালু নিজেরদের প্রয়োজনমত পরিবর্তন করে নেন। MACD দিয়ে যদি আপনি কোন শেয়ারের overbought/oversold অবস্থা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন তাহলে আপনার সেই চেষ্টা বৃথা। এর কোন সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন সীমা নাই। এই ইন্ডিকেটর শুধুমাত্র ২টি মুভিং অ্যাভারেজের (EMA) মানের পার্থক্যের উপর নির্ভর করে। পার্থক্য যত বেশি হয় তত বেশি বুলিশ বা বিয়ারিশ মুভমেন্ট হয় শেয়ারের। যদি ভেবে থাকেন সব শেয়ারের জন্য এই ২টি মুভিং অ্যাভারেজের মানের পার্থক্যের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে তবে ভুল ভাবছেন। কারণ, শেয়ারের দামের উপরই মুভিং অ্যাভারেজদ্বয়ের মানের পার্থক্য নির্ভর করে। আচ্ছা, সব শেয়ারের দাম কি একই? যদি এক না হয় তাহলে মুভিং অ্যাভারেজদ্বয়ের মানের পার্থক্যের একটি নির্দিষ্ট সীমা কি করে থাকে? আগামী সপ্তাহের টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা Bollinger Band, Support-Resistance নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

Technical Analysis -10 Bollinger Band & Support-Resistance টেকনিক্যাল এনালাইসিসে টেকনিক্যাল এনালাইসিস ইন্ডিকেটর, ফর্মুলার অভাব নেই। এদের ভিতর থেকে যেইসব ইন্ডিকেটর পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং ব্যবহার অনেকটাই সহজবোধ্য সেগুলোকে আপনাদের জানানোর প্রয়াসে গেল সপ্তাহে MACD, MFI এবং RSI সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করেছি। আজ Bollinger Band এর পালা, সাথে থাকবে স্টক মার্কেটের বহুল উচ্চারিত ও আলোচিত সাপোর্ট-রেজিস্টান্স সম্পর্কে কিছু কথা। >Bollinger Bands: এই টেকনিক্যাল এনালাইসিস ইন্ডিকেটরের আবিষ্কারক হচ্ছেন Jhon Bollinger। ১৯৮০ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। প্রতিটা ইন্ডিকেটর তৈরির পিছনেই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। Bollinger Band তৈরির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের সাপেক্ষে কোন শেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মূল্যের নির্দিষ্ট সীমা খুঁজে বের করা। সহজ কথায় বলতে গেলে এই ইন্ডিকেটর কোন শেয়ার তার সাপোর্ট/রেজিস্টান্স নাকি সাইডওয়েস অবস্থানে আছে সেটা বুঝিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। এই Bollinger Band এর উপরে আপার ব্যান্ড , নিচে লোয়ার ব্যান্ড এবং মাঝে মিডল ব্যান্ড থাকে। মিডল ব্যান্ডটিকে ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর বলা হয়। সাধারণত মিডল ব্যান্ডের ফর্মুলায় ২০ দিনের সিম্পল মুভিং অ্যাভারেজ(SMA) ব্যবহার করা হয়। তবে EMA ও ব্যবহার করা যায়। যেই মুভিং অ্যাভারেজ ব্যবহার করাই হোক না কেন, ৩ টি ব্যান্ডের জন্যই একই মুভিং অ্যাভারেজ ব্যবহার করতে হয়। এটি এতই শক্তিশালী আর কার্যকরী ইন্ডিকেটর যে, এর আপার ও লোয়ার ব্যান্ড খুব ভালভাবেই শেয়ার মূল্যের রেঞ্জের সাথে মিশে যায়। এর আপার ব্যান্ড শেয়ারের জন্য রেজিস্টান্স এবং লোয়ার ব্যান্ড সাপোর্ট হিসেবে বেশ ভালভাবেই কাজ করে। Bollinger Band এর সাথে যদি ঠিকভাবে ক্যান্ডেল প্যাটার্ন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে লাভ আপনার পকেটেই ঢুকবে।

>Support & Resistance: স্টক মার্কেটে এসে এই দুটি শব্দ শুনে নাই এমন কেউ নেই। অনেক এনালিস্ট আছেন যারা শুধু সাপোর্ট, রেজিস্টান্স, ট্রেন্ডলাইন ব্যবহার করে ভালো স্টক বিজনেস করছেন। ট্রেন্ডলাইন নিয়ে আরেকদিন বলব। সাধারণত কোন শেয়ারের মূল্য যেমন একটানা বাড়ে না আবার একটানা পড়েও না। দামের এই ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী যাত্রায় কোথাও না কোথাও বাঁধা পেয়ে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যায়। স্টক মার্কেটে সাপোর্ট, রেজিস্টান্স শব্দ দুটি শেয়ারের সাপ্লাই, ডিমান্ডের সাথে সম্পর্কিত। স্টক মার্কেটে সাপ্লাই হচ্ছে নেগেটিভ শব্দ যার সাথে রেজিস্টান্স এর খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে আর ডিমান্ড হচ্ছে পজেটিভ শব্দ যার সাথে সাপোর্ট এর খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যাই হোক বেশি না পেঁচিয়ে সহজ করে বিস্তারিত বলি। >সাপোর্ট কিঃ কোন শেয়ারের জন্য সাপোর্ট হচ্ছে সেই প্রাইস লেভেল যেখানে সাপ্লাই থেকে ডিমান্ডের শক্তি বেশি হয়। ধরা যাক ‘ক’ নামক কোন শেয়ার ৩ টাকা থেকে ১২ টাকা হল। এরপর শেয়ারটি দর হারিয়ে ৫ টাকায় এসে স্থিতিশীল হল অর্থাৎ সাপোর্ট পেল। এখন কথা হচ্ছে শেয়ারটি ৫ টাকায় সাপোর্ট পেল কেন ৬ টাকা বা অন্য মূল্যতে সাপোর্ট পেল না। যে কোন শেয়ারের যে কোন মূল্য সাপোর্ট পাবার মূল লজিক হচ্ছে শেয়ারের দাম বাড়ার র‍্যালি হয়ে যাবার পর মূল্য সংশোধনের সময়ে শেয়ারের মূল্য কমতে কমতে একটা পর্যায়ে এসে তুলনামূলকভাবে সস্তা মূল্যে এসে যায় যেখানে ধীরে ধীরে উচ্চ মূল্যে শেয়ার ক্রয় করে আটকে পড়া বিনিয়োগকারীদের লসে শেয়ার বিক্রয় করার পরিমাণ কমে যায় অর্থাৎ শেয়ারের সাপ্লাই কমে যায়। আর সাপ্লাই কমে গেলেই আস্তে আস্তে ডিমান্ড বাড়ে যার ফলে দেখা যায় শেয়ারের সাপোর্ট তৈরি হয়। এই সাপোর্ট তৈরি হবার পিছনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরণের অদৃশ্য মানসিক সংযোগ কাজ করে যা তাঁদের মনের ভিতর দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি করে যে শেয়ারটির মূল্য এর থেকে আর কম হতে পারে না। যার প্রতিফলন দেখা যায় শেয়ারের মূল্যে। তবে কোন কারণে যদি বিনিয়োগকারীদের মনে শেয়ারটির সাপোর্ট নিয়ে সংশয় হয় তাহলে শেয়ারটির মূল্য আরও কমে যায় এবং আগের লো প্রাইস থেকে নতুন লো প্রাইস হয়। সাপোর্ট অনুমান করার/বোঝার উপায়ঃ শেয়ারের সাপোর্ট মূল্য বুঝতে বা অনুমান করতে ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর পাশাপাশি বলিঞ্জার ব্যান্ড, ফিবোনাচ্চি খুব ভালভাবে সাহায্য করে। >রেজিস্টান্সঃ সাপোর্ট এর বিপরীত হচ্ছে রেজিস্টান্স। প্রায় সময় দেখা যায় কোন একটি শেয়ার ঊর্ধ্বমুখী যাত্রা শুরু করার পর এমন একটি উচ্চ মূল্যে চলে আসে যখন শেয়ারটি সেই উচ্চ মূল্যকে অনেক চেষ্টা করেও অতিক্রম করে নতুন উচ্চ মূল্যে যেতে পারে না। যতই শেয়ারটি উচ্চ মূল্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে ততই শেয়ারটির সাপ্লাই বেড়ে যায়। এই বিষয়টিকেই রেজিস্টান্স বলা হয়। শেয়ারের রেজিস্টান্স তৈরি হবার মূল কারণ হচ্ছে শেয়ারের মূল্য নিজেই!!! জি, আপট্রেন্ড র‍্যালির শেষ পর্যায়ে শেয়ারের মূল্য এমন উচ্চ মূল্যে এসে পৌছায় যে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারটি নতুন করে ক্রয় করার আগে লাভ পাবার ব্যাপারে ভাবতে বাধ্য হোন আর যাদের কাছে শেয়ার থাকে তারা শেয়ার বিক্রি করায় মনযোগী হয়ে থাকেন। ডিমান্ড থেকে সাপ্লাই বেশি হয়ে যায় আর পরবর্তীতে শেয়ারের মূল্য শার্প ফল করে থাকে। এই রেজিস্টান্স তৈরি হবার পিছনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরণের অদৃশ্য মানসিক সংযোগ কাজ করে যা তাঁদের মনের ভিতর দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি করে যে শেয়ারটির মূল্য এর থেকে আর বেশি হতে পারে না। যার প্রতিফলন দেখা যায় শেয়ারের মূল্যে। রেজিস্টান্স অনুমান করার/বোঝার উপায়ঃ সাপোর্ট নির্ণয় করার মতই। শেয়ারের রেজিস্টান্স মূল্য বুঝতে বা অনুমান করতে ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন এর পাশাপাশি বলিঞ্জার ব্যান্ড, ফিবোনাচ্চি খুব ভালভাবে সাহায্য করে।

Technical Analysis -11 Trend Line (Part - 1) >Trend line: টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি টুলস হল ট্রেন্ড লাইন। ট্রেন্ড লাইন সহজেই বোঝা যায়। ট্রেন্ড লাইন যদি সঠিকভাবে আকা যায় তবে তা অন্য যেকোনো মেথড থেকে ভাল ফলাফল দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ট্রেডার সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে পারে না এবং জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকে যার ফলে তা কার্যকর হয় না। ট্রেন্ড লাইন আঁকতে লো পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয় এবং হাই পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয়। যদি কোন ক্যানডেল ট্রেন্ড লাইন ক্রস করে ওপরে বা নিচে চলে যায়, তখন বুঝতে হবে ট্রেন্ড লাইন ব্রেক হয়েছে। ভালো টেকনিক্যাল এনালিস্ট হবার জন্য ট্রেন্ডলাইনের উপর অবশ্যই আপনার ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। ট্রেন্ডলাইন আঁকার মূল ও প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আগে থেকেই শেয়ারের সম্ভাব্য সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স খুঁজে বের করা। এই পূর্বানুমান থেকে খুব সহজেই একজন বিনিয়োগকারী বুঝতে পারবেন কখন তার শেয়ার ক্রয় করতে হবে আর কখন বিক্রয় করতে হবে। তাই, ভালো টেকনিক্যাল এনালিস্ট হবার জন্য ও লাভজনক ট্রেড করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে ট্রেন্ডলাইন আঁকা শিখতে হবে। একটা ভুল ট্রেন্ডলাইন আপনার পোর্টফলিওকে মরুভূমি বানিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করে ট্রেন্ডলাইনের বিভিন্ন ছবি দেখে আপনার হয়তো মনে হতে পারে ট্রেন্ডলাইন আঁকা খুবই সোজা। শুধু সুইং হাই আর লো কানেক্ট করে দাগ টানতে পারলেই হয়ে গেল। এত সহজ জিনিস শিখে তাহলে কি লাভ? যদি আপনি এই রকম মনে করে থাকেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কেন ভুল ভাবছেন তা পড়ে বলব। তার আগে চলুন জেনে নিই ট্রেন্ডলাইন কয় ধরনের হতে পারে। ট্রেন্ডলাইন ৩ ধরণের হতে পারে। ১. ঊর্ধ্বমুখী বা আপট্রেন্ড ২. নিম্নমুখী বা ডাউনট্রেন্ড ৩. পাশাপাশি বা সাইডওয়েসট্রেন্ড >১. ঊর্ধ্বমুখী বা আপট্রেন্ডঃ সচরাচর ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইনে দেখা যায় শেয়ারের মূল্য বাড়তে। ট্রেন্ডলাইন যত বেশি স্ট্রং হবে শেয়ারের সাপোর্ট তত বেশি শক্তিশালী হবে আর দামের ঊর্ধ্বমুখী ধারাও অব্যাহত থাকবে। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন আঁকার জন্য শেয়ারের ক্যান্ডেলস্টিকগুলোর নিচের বা লো প্রাইস (দুই বা ততোধিক) পয়েন্ট ধরে আঁকতে হবে। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইনে শেয়ারের ২য় লো প্রাইসকে অবশ্যই ১ম লো প্রাইসের তুলনায় বেশি থাকতে হবে। আপট্রেন্ড লাইন শেয়ারের সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে এবং এ দ্বারা বুঝায় যে শেয়ারের সাপ্লাই এর তুলনায় ডিমান্ড বেশি তাই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। কোন শেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ট্রেন্ডলাইনের উপর থেকে গড় ভলিউম বৃদ্ধির সাথে যদি বুলিশ ভাব অব্যাহত থাকে তাহলে সেই শেয়ারের ট্রেন্ডলাইনকে শক্তিশালী আপট্রেন্ড নির্দেশক বলে মনে করা হয়। যদি কোনোভাবে শেয়ারের দাম এই দৃঢ় ও শক্তিশালী ট্রেন্ডলাইনকে ভেঙ্গে নিচের দিকে যায় তাহলে আপট্রেন্ড শেষের দিকে বলে ধরে নেওয়া হয়। >২. নিম্নমুখী বা ডাউনট্রেন্ডঃ নিম্নমুখী ট্রেন্ডলাইনে দেখা যায় শেয়ারের মূল্য কমতে। ডাউনট্রেন্ডে ট্রেন্ডলাইন যত বেশি স্ট্রং হবে শেয়ারের রেজিস্টান্স ততবেশি শক্তিশালী হয় আর দামের নিম্নমুখী ধারাও কন্টিনিউ করতে থাকবে। নিম্নমুখী ট্রেন্ডলাইন আঁকার জন্য শেয়ারের ক্যান্ডেলস্টিকগুলোর উপরের বা হাই প্রাইস (দুই বা ততোধিক) পয়েন্ট ধরে আঁকতে হবে। নিম্নমুখী ট্রেন্ডলাইনে শেয়ারের ২য় হাই প্রাইসকে অবশ্যই ১ম হাই প্রাইসের তুলনায় কম হতে হবে। ডাউন ট্রেন্ডলাইন শেয়ারের রেজিস্টান্স হিসেবে কাজ করে এবং এ দ্বারা বুঝায় যে শেয়ারের ডিমান্ড এর তুলনায় সাপ্লাই বেশি তাই শেয়ারের মূল্য হ্রাস হচ্ছে। কোন শেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী ধারায় ট্রেন্ডলাইনের নিচে থেকে ভলিউম বৃদ্ধির সাথে যদি বিয়ারিশ ভাব অব্যাহত থাকে তাহলে সেই শেয়ারের ট্রেন্ডলাইনকে শক্তিশালী ডাউনট্রেন্ড নির্দেশক বলে মনে করা হয়। যদি কোনোভাবে শেয়ারের দাম এই দৃঢ় ও শক্তিশালী ট্রেন্ডলাইনকে ভেঙ্গে উপরের দিকে যায় তাহলে ডাউনট্রেন্ড শেষের দিকে বলে ধরে নেওয়া হয়। >৩. পাশাপাশি বা সাইডওয়েসট্রেন্ডঃ সাইডওয়েসট্রেন্ডে ক্যান্ডেলস্টিক পাশাপাশি অবস্থানে থাকে। সাইডওয়েসট্রেন্ডে শেয়ারের আপ বা ডাউন কোন ট্রেন্ডের ক্লিয়ার ভিউ থাকে না বলে অভিজ্ঞ টেকনিক্যাল এনালিস্টরা এই ট্রেন্ডে শেয়ার ক্রয়, বিক্রয় থেকে বিরত থাকেন। ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ > অন্তত ২টি টপ (top) অথবা বটম (bottom) পয়েন্ট সংযুক্ত করে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়। তবে ৩টি পয়েন্ট হলে ট্রেন্ড লাইন কনফার্ম হয়। > সাপোর্ট এবং রেসিট্যান্স লাইনের মত যতই প্রাইস ট্রেন্ড লাইনগুলোকে টেস্ট করবে, ট্রেন্ড লাইনগুলো তত শক্তিশালী হবে। > জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকার চেষ্টা করবেন না। সেক্ষেত্রে তা ভ্যালিড ট্রেন্ড লাইন হবে না। আজ এই পর্যন্ত, টেকনিক্যাল এনালাইসিসের পরবর্তী আর্টিকেলে আমরা Trend Line (Part - 2) নিয়ে আলোচনা করব।

Technical Analysis – 12 Trend Line (Part 2) গত সপ্তাহে টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা ট্রেন্ড লাইন কি তা জেনে ছিলাম। আজ আমরা ট্রেন্ড লাইন প্রয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব। >ট্রেন্ড লাইন কিভাবে আঁকবেনঃ ট্রেন্ড লাইন আঁকা খুব সহজ ব্যাপার না আবার খুব একটা কঠিন ব্যাপারও না। অনভিজ্ঞদের জন্য ট্রেন্ড লাইন আঁকার ক্ষেত্রে কঠিন ব্যাপারটা হচ্ছে কোন জায়গা থেকে ট্রেন্ড লাইন আঁকা শুরু করবে সেটা ঠিক করতে না পারা। ট্রেন্ড লাইন আঁকার আগে দেখতে হবে শেয়ারের প্রাইস বাড়ছে নাকি কমছে। যদি দাম বাড়তে থাকে তাহলে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হবে শেয়ারের দাম বাড়ার এই ধারার আগে যেখানে শেয়ারটি তার ডাউন ট্রেন্ড শেষ করেছে সেখান থেকে। ধরুন, একটি শেয়ার ৫০ টাকা থেকে দীর্ঘ ৩ মাস ধরে কমে ২৫ টাকায় এসে সাপোর্ট পেল এবং এখান থেকে আবার পরবর্তী ২ মাসে ৪০ টাকা গেল। তাহলে আপনি ট্রেন্ড লাইন আঁকা শুরু করবেন ২৫ টাকা থেকে ৪০ টাকার দিকে। ট্রেন্ড লাইন আঁকা কোথায় শেষ করবেন তা আপনার ভাববার বিষয় নয়। শেয়ারের দাম তা ঠিক করে দিবে। আপনার আঁকা এই ট্রেন্ড লাইনকে ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড লাইন বলে। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয় শেয়ারের দুটি বা তার বেশি লো প্রাইস পয়েন্টকে ধরে। কোন শেয়ারের দাম একটানা বাড়ে না। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড লাইন শেয়ারের লো প্রাইসকে ধরে আঁকা হয় বলে এটি শেয়ারের সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে। আর নিম্নমুখী ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময় বিপরীত কাজ করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হবে শেয়ারের দুটি বা তার বেশি হাই প্রাইস পয়েন্টকে ধরে। নিম্নমুখী ট্রেন্ড সৃষ্টি হয় শেয়ারের দাম বাড়ার র‍্যালি শেষ হবার পর। তাই নিম্নমুখী ট্রেন্ড লাইন অবশ্যই শেয়ারের রেজিস্টান্স হিসেবে কাজ করবে। >কিভাবে নিজের আঁকা ট্রেন্ড লাইনের শক্তি বুঝবেনঃ আপনি ট্রেন্ড লাইন আঁকলেন, এখন কিভাবে বুঝবেন আপনার আঁকা ট্রেন্ড লাইনটি আসলেই ঠিকভাবে এঁকেছেন বা এটা কতটুকু আপনার ট্রেড/ইনভেস্টের সিদ্ধান্ত নেবার জন্য সাহায্য করবে? আপনার আঁকা ট্রেন্ড লাইনটি যদি স্ট্রং বা ঠিক হয় তাহলে শেয়ারের প্রাইস অবশ্যই আপনার ট্রেন্ড লাইনকে ফলো করে চলবে এবং আপনার ট্রেড/বিনিয়োগকে লাভবান করবে। কোন শেয়ার যতবেশি বার আপনার আঁকা ট্রেন্ড লাইনকে টেস্ট করবে সেটি তত বেশি স্ট্রং। ধরুন, আপনার ক্রয় করা শেয়ার আপ ট্রেন্ডে আছে। এটি বারবার এর সাপোর্টকে টেস্ট করে আপ হচ্ছে; এর দ্বারা বুঝতে পারবেন যে আপনার ক্রয় করা শেয়ারের ভালো ডিমান্ড আছে এবং এর সাপোর্ট রেঞ্জ খুবই স্ট্রং যা কিনা একটা সলিড ও দীর্ঘমেয়াদী আপ ট্রেন্ডের ইঙ্গিত দেয়। সাধারণত ফান্ডমেন্টাল শেয়ারের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। আর যদি উল্টো ঘটনা ঘটে আপনি হুজুগের বশে এমন শেয়ার কিনেছেন যা কিনা কমছে এবং শেয়ারটি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও রেজিস্টান্স ট্রেন্ড লাইন ভাঙতে পারে নি; তখন খুব সহজেই অনুমেয় যে শেয়ারটি স্ট্রং ডাউন ট্রেন্ডে আছে। এমতাবস্থায়, এলোপাথাড়ি ভাবে শেয়ার ক্রয় করে অ্যাভারেজ না করে এই স্ট্রং ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট হবার জন্যে অপেক্ষা করা উচিত হবে। এই স্ট্রং ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট হবার পর অ্যাভারেজ করলে প্রফিটে বা কেনা মূল্যে শেয়ারটি বেচার সম্ভাবনা থাকবে আসলে স্ট্রং ট্রেন্ড লাইন হচ্ছে কোন শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য সিগন্যাল পাবার মাধ্যম যদি আপনি ট্রেন্ড লাইন বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন। >কিভাবে শেয়ার প্রাইস ট্রেন্ড লাইন ভেঙ্গেছে বুঝা যাবেঃ প্রায় সময়ই দেখা যায় কোন কোন শেয়ার হঠাৎ করে তার ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করে বাই বা সেল সিগন্যাল দেয়। কিন্তু, কিছুদিন পর আবার শেয়ারটি তার আগের ট্রেন্ডে ফিরে যায়। এই ব্রেকআউটকে ফেইক ব্রেকআউট বলে। এই ফেইক ব্রেকআউট আপনি কিভাবে বুঝতে পারবেন? যখন কোন শেয়ার তার ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট দেখাবে তখন তার MACD পজিশন দেখতে হবে। যদি MACD পজিশন ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউটকে সাপোর্ট করে তাহলে বুঝতে হবে ব্রেকআউট ঠিকঠাক আছে আর না করলে ফেইক ব্রেকআউট হতে যাচ্ছে এটা ধরে নিতে হবে এবং ট্রেন্ড ফলো করতে হবে। এছাড়া ভলিউম থেকেও আমরা ট্রেন্ড সম্পর্কে তথ্য পেতে পারি। আপ বা ডাউন ট্রেন্ডে ট্রেন্ড লাইন ব্রেক আউট হবার সময় যদি সেই শেয়ারের গড় ভলিউম তুলনামূলকভাবে কম হয় তাহলে সেই ব্রেকআউটের ব্যাপারে যথেষ্ট কেয়ারফুল হতে হবে। কারণ অধিকাংশ সময়ে অল্প ভলিউমে এইসব ব্রেকআউট ফেইক ব্রেকআউট হয়। আর ভলিউম তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ট্রেন্ড লাইন ব্রেকআউট হলে তাহলে সেটা ভ্যালিড ব্রেকআউট হয়। (চিত্র-৫) আজ এই পর্যন্ত, টেকনিক্যাল এনালাইসিসের পরবর্তী আর্টিকেলে আমরা মাল্টিপল ট্রেন্ড লাইনস ব্যবহার, ট্রেন্ড লাইনে সাপোর্ট যখন রেজিস্টান্স হয়ে যায় এবং চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব।

Technical Analysis – 13 (Trend line Last Part & Channel)

গত টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা ট্রেন্ড লাইন প্রয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।আজ আমরা মাল্টিপল ট্রেন্ড লাইনস ব্যবহার, সাপোর্ট যখন রেজিস্টান্স হয়ে যায় এবং চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব।

>মাল্টিপল ট্রেন্ড লাইনস ব্যবহারঃ বেসিক ট্রেন্ড লাইন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনি নিজেই আপনার ট্রেডের প্রয়োজনে একাধিক ট্রেন্ড লাইন ব্যবহারের প্রয়োজনবোধ করবেন। মাল্টিপল ট্রেন্ড লাইন ব্যবহার করে ট্রেড করতে গেলে আপনার নির্বাচিত শেয়ারটি কোন ট্রেন্ডে আছে তা বুঝতে ট্রেন্ড লাইনের উপর দক্ষতার প্রয়োজন হয়।

সাধারণত মাল্টিপল ট্রেন্ড লাইন ডে ট্রেডাররা ব্যবহার করে থাকেন। ইনভেস্টররা লং টার্ম ট্রেন্ড লাইন ব্যবহার করে থাকেন। শেয়ারের সুইং এ যেসব ট্রেডাররা ট্রেড করেন তারা শর্ট টাইম ট্রেন্ড লাইন ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। (চিত্র-৬)

>সাপোর্ট যখন রেজিস্টান্স হয়ে যায়ঃ এই ব্যাপারটা সেইসব শেয়ারের ক্ষেত্রেই হয় যখন শেয়ারের দাম বাড়ার র‍্যালি শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ একসময় যেই ট্রেন্ড লাইন শেয়ারের আপ ট্রেন্ড নির্দেশ করছিল এবং সাপোর্ট দিচ্ছিল তা শেয়ারের সাপ্লাই বেশি হয়ে যাবার কারণে রেজিস্টান্স হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় শেয়ারটি/গুলো স্ট্রং ডাউন ট্রেন্ডে চলে যায়।

যারা শেয়ারের ট্রেন্ড লাইন বুঝেন না তারা উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনে শেয়ারের আচমকা দরপতনে দিশেহারা হয়ে যান। তারা তাদের সমস্ত পুঁজি দিয়ে আরও কম মূল্যে শেয়ার কিনে অ্যাভারেজ করে দাম বাড়ার আশা করেন কিন্তু দাম না বেড়ে আরও কমে যায় আর তারা তাদের ভাগ্যকে দোষ দেন।

কিন্তু অন্যদিকে স্মার্ট ও সুইং ট্রেডাররা শেয়ারের ডাউন ট্রেন্ড শুরু হবার পর এর সাপোর্ট বা শর্ট টাইম ট্রেন্ড লাইন খুঁজে বের করে বিনিয়োগের অপেক্ষায় থাকেন। যখন তারা দেখেন যে শেয়ারটি একটি শর্ট টাইম সাপোর্ট পেয়েছে তখন সেই শেয়ারে বিনিয়োগ করে নিকটবর্তী রেজিস্টান্স ট্রেন্ড লাইনে বিক্রয় করে অল্প সময়ে মুনাফা তুলে নেন। স্মার্ট ও সুইং ট্রেডাররা সবসময় ট্রেন্ডের তালে তালে চলতে পছন্দ করেন।

>Channel: Trend line-এর পর আজ আপনাদের টেকনিক্যাল এনালাইসিসের যে টার্ম নিয়ে আলোচনা করা হবে তা হচ্ছে চ্যানেল। চ্যানেল কি আর এর ব্যবহার কি সেসব জানার আগে চলুন আগে জেনে নেই চ্যানেল বলতে কি বুঝি।

চ্যানেল বলতে আমরা কোন একটা বড় জিনিসের নির্দিষ্ট ছোট অংশ বুঝি বা নির্দিষ্ট গতিপথ, নদী পথ, রাস্তা ইত্যাদি বুঝি। স্টক মার্কেটেও টেকনিক্যাল এনালাইসিসে চ্যানেল বলতে এই রকমই বুঝায় কিন্তু একটু ভিন্নভাবে এই শব্দটার ব্যবহার হয়।

আমরা আপনাদের গত ২ সপ্তাহে ট্রেন্ড লাইন বিষয়ে জানিয়েছি। সেখানে ট্রেন্ড লাইনের একটা প্যাটার্ন সাইডওয়েস ট্রেন্ড লাইন নিয়ে আপনাদের বলেছিলাম যে, অভিজ্ঞ ট্রেডাররা সাইডওয়েস ট্রেন্ড লাইনে ট্রেড করতে মানা করে থাকেন। আচ্ছা মানা করেন বুঝলাম কিন্তু ট্রেড তো হয়। এই সময়ে কারা ট্রেড করে?

আবার দেখা যায় শেয়ার একটা নির্দিষ্ট রেঞ্জে আপ ডাউন করে। আর তাছাড়া কিভাবে এই ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয় তাই তো জানি না। আপ আর লো ট্রেন্ড লাইন আঁকা তো জানলাম। এই সাইডওয়েস ট্রেন্ড লাইন কিভাবে আঁকে? চলুন, এক কাজ করি সাইডওয়েস ট্রেন্ড লাইন না এঁকে আমরা বরং এই সময়ের শেয়ারের সাপোর্ট-রেজিস্টান্স আঁকা যায় কিনা তা দেখি।

ধরুন, একটা শেয়ার ২০১৫ এর জুলাই মাসের ২ তারিখে ৩০ টাকা মূল্যে ছিল। আজকের তারিখে এর মূল্য ৩৮ টাকা। এই ৩ মাসের দাম পর্যালোচনা করে যদি এই শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য ৪০ টাকা পাই আর সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ টাকা হয় এবং শেয়ারটি যদি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার ভিতরেই আপ ডাউন করতে থাকে তাহলে খুব সহজেই বলতে পারি যে এই শেয়ারের বর্তমান সাপোর্ট ৩০ টাকা এবং রেজিস্টান্স ৪০ টাকা।

তাহলে, আমরা এই শেয়ারের সাপোর্ট রেজিস্টান্স চার্টে আঁকতে পারলাম এবং শেয়ারটি বিগত ৩ মাস ধরে এই ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকার রেঞ্জের ভিতর ট্রেড হচ্ছে। ক্লিয়ার কোন (আপ/ডাউন) ট্রেন্ড দেখতে পাচ্ছি না। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জে গৎবাঁধাভাবে শেয়ারের মুভমেন্ট হচ্ছে এটা হচ্ছে শেয়ারের সাইডওয়েস ট্রেন্ড।

একে সাইডওয়েস চ্যানেল বললেও ভুল হবে না। কারণ, চ্যানেল বলতে যা বুঝি এর সবকিছুই এই ট্রেন্ডে দেখা যায়। এই সাইডওয়েস চ্যানেল সাধারণত কোন শেয়ারের আপ বা ডাউন ট্রেন্ডের পর দেখা যায়।

আচ্ছা, যদি সাইডওয়েস চ্যানেল থাকে তাহলে কি আপ আর ডাউন চ্যানেল নেই? অবশ্যই আছে। আপ ট্রেন্ডে আমরা শেয়ারের লো প্রাইস পয়েন্ট ধরে ট্রেন্ড লাইন আঁকি। একে আমরা সাপোর্ট বলি। যদি আমরা আপ ট্রেন্ডের হাই প্রাইস পয়েন্ট ধরে একটা সোজা ও সমান্তরাল সরলরেখা আঁকি তাহলে কি আমরা আপ ট্রেন্ডে থাকা শেয়ারের জন্য রেজিস্টান্স পাব না?

তাহলে আপ ট্রেন্ডে থাকা শেয়ারের এই সাপোর্ট ও রেজিস্টান্স সরলরেখা দুটি কি একটা চ্যানেল বানাবে না? চিত্রে দেখুন। আপ ট্রেন্ডে থাকা শেয়ারের এই চ্যানেলকে অবশ্যই তাহলে আপ চ্যানেল বলা যায়। এরকম করে ডাউন ট্রেন্ডে শেয়ারের রেজিস্টান্সের পাশাপাশি সমান্তরাল করে বিপরীত দিকে একটি সাপোর্ট আঁকা হলে ডাউন চ্যানেল আঁকা হয়ে যাবে।

ব্যস, হয়ে গেলো চ্যানেল শেখা। তবে সাইডওয়েস চ্যানেল খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই সাইডওয়েস চ্যানেল শেষ হলেই যে কোন শেয়ারের সুস্পষ্ট আপ বা ডাউন ট্রেন্ড শুরু হয়।

আজ এই পর্যন্ত, টেকনিক্যাল এনালাইসিসের পরবর্তী আর্টিকেলে আমরা Moving Average আলোচনা করব।

আবহাওয়া গরম। শেয়ার বাজারও গরম। তা দুই গরম মিলিয়ে সবাই ভাল আছেন তো?

আপনি কি জানেন যে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং ব্যক্তিগত বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আপনার শেয়ার ব্যবসায় প্রভাব ফেলে। যারা একটু ধীরস্থির প্রকৃতির (Cool) তারা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চান। তবে সবাই তো একরকম না (আর হবার দরকারই বা কোথায়?)।

এতদিন আমরা শুধু মাত্র দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করার উপায় (যেমন- ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস) নিয়েই বেশি কথা বলেছি। তবে স্বল্পমেয়াদে শেয়ার ট্রেড করেও অনেকেই সফল হচ্ছেন। আর সেজন্যই আমরা আপনাদের কাছে টেকনিক্যাল এনালাইসিস নিয়ে এসেছি।

শুরুতেই বলে রাখা ভাল, টেকনিক্যাল এনালাইসিস করতে গেলে আপনাকে জ্যামিতিক আকার প্রকারভেদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। তাই ক্লাস ফাইভের বই আবারও কাজে লেগে যেতে পারে। চলুন তাহলে দেখি, টেকনিক্যাল এনালাইসিস আপনার ব্যবসায়িক সাফল্য এনে দেবার জন্য কী করতে পারে।

টেকনিক্যাল এনালাইসিস কী করতে পারে?

১) স্বল্পমেয়াদে (১ থেকে ৪ সপ্তাহ) একটি শেয়ারের প্রাইস মুভমেন্ট অনুমান করতে পারবেন । ২) এটি আপনাকে এই শেয়ার সম্পর্কে মানুষের মনোভাব (আগ্রহ আছে, নেই) বুঝতে সাহায্য করবে । ৩) স্বল্পমেয়াদে বাজারের ওঠা নামায় ক্ষতিগ্রস্থ হবার হাত থেকে সুরক্ষা দেবে ।

টেকনিক্যাল এনালাইসিস কী করতে পারেনা?

১) দীর্ঘমেয়াদে (১ বছর থেকে ৩ বছর) শেয়ার প্রাইস এর Growth/ Degrowth সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন না (তা করতে হলে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস শেখা লাগবে) । ২) টেকনিক্যাল এনালাইসিস সবসময় সঠিক হবেনা (কোন কিছুই ১০০% বুলেটপ্রুফ না, তাই পাশাপাশি ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করলে ভাল রেজাল্ট পাবেন) । ৩)স্বল্পমেয়াদের প্রাইস মুভমেন্ট বুঝতে পারলেও ঠিক কখন মুভমেন্ট হবে (অর্থাৎ কোনদিন) তা জানা সম্ভব নয় ।

আশা করছি আপনার আশা-প্রত্যাশা ঠিকঠাক করে ফেলেছেন। চলুন তাহলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস শেখার প্রাথমিক ধাপগুলো পার করে ফেলি

ক) Support – শেয়ার এর প্রাইস হিস্টরি থেকে দেখতে পাবেন যে একটি নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত দাম কমার পর তা আবার বাড়তে শুরু করে। এই সীমা হচ্ছে এই শেয়ারের সাপোর্ট। উদাহরণ – একটি শেয়ারের দাম গত ছয় মাসে যদি হয় ৪০, ৪৫, ৪১, ৩৭, ৪০, ৪৩ টাকা। তাহলে এই শেয়ারের সাপোর্ট প্রাইস হচ্ছে ৩৭ টাকা। কারণ এর পরেই দাম আবার বাড়া শুরু করেছে।

খ) Resistance – এটি হচ্ছে সাপোর্ট এর ঠিক বিপরীত। অর্থাৎ দাম যতটুকু বাড়ার পর শেয়ারের দাম আবার কমা শুরু হয় (অতীত প্রাইস গ্রাফ দেখুন)। আগের উদাহরণটাই নেই – দেখতে পাচ্ছেন যে Resistance হচ্ছে ৪৩ টাকা এবং ৪৫ টাকা। অর্থাৎ এই দাম এর রেঞ্জ এ আসার পর আবার কমে যাচ্ছে।

গ) Breakout – কিছু সময় আছে যখন Support/Resistance না মেনেই একটি শেয়ারের দাম বেড়ে যায় বা কমে যায় (ভয় নেই, টেকনিক্যাল এনালাইসিস আপনাকে আগেই সাবধান করে দেবে!)। এই অবস্থার নাম ব্রেকআউট।

ঘ) Reversal – প্রাইসগ্রাফ থেকে দেখা যায় অনেক সময় একটি শেয়ার যে হারে পড়েছে, পরবর্তীতে ঠিক সে হারেই আবার বেড়ে যায়। (অথবা উল্টোটা, অর্থাৎ যেভাবে বেড়েছে, সেভাবেই পড়েছে)। এই প্যাটার্নটির নাম Reversal যা যেকোনো শেয়ার বাজারে অহরহ দেখা যায়।

ওপরের এই ৪টি ধারণা থেকে আপনি কিছু প্যাটার্ন ড্রয়িং শিখবেন। তবে ড্রয়িং এর ঝামেলা (!) তে যাবার আগে রেডিমেড কিছু প্যাটার্ন জেনে নিন।

১) Bullish – শেয়ারের দাম যখন উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকে তাই Bullish। এ সময়ে শেয়ার বিক্রি করে ফেলুন, অথবা কিনতে চাইলে দাম পড়ার অপেক্ষায় থাকুন।(কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ!)

২) Bearish - শেয়ারের দাম যখন নিম্নগামী প্রবণতায় থাকে তাই Bearish। এ সময়ে শেয়ার কেনা ঠিক নয়, অপেক্ষা করুন দাম পড়ে Resistance এ আবার দাম বেড়ে যাওয়া শুরু পর্যন্ত।

৩) Continuation – কিছু সময় শেয়ারের দাম বাড়লে বাড়তেই থাকে (আবার পড়লে পড়তেই থাকে)। আবার দেখা যায় দাম বেড়ে গিয়ে এক জায়গাতেই আটকে আছে, অথবা পড়ে গিয়ে তলানিতেই ঠেকে আছে অনেক দিন - এই অবস্থাকেই Continuation বলে। দুঃখিত এই প্যাটার্ন পেলে কি করবেন তা আজই বলতে পারছিনা। কারণ তার আগে আরো অনেক কিছু আপনাদের কে বলতে হবে। পরিশিষ্ট?

নাহ, টেকনিক্যাল এনালাইসিস শেখা এখনই শেষ হয়নি (আসলে শুরুই হয়নি)। খুব শীঘ্রই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল পাবলিশ করা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা শেয়ার ইনভেস্টিং এবং ট্রেডিং এর সব আর্টিকেল এবং গাইড (ই বুক) এর পশরা সাজিয়ে অপেক্ষা করবো আপনাদের জন্য। কারণ সব কিছু তো আপনাদের ভালর জন্যই করা। আপনার বিনিয়োগ এবং ট্রেড শুভ হোক।

Technical Analysis (10/08/2015)

'বুলিশ-বিয়ারিশ ভলিউম এবং ইন্ডিকেটর'

চার্টে যে কোন শেয়ার নিয়ে এনালাইসিস করতে গিয়ে ভলিউম, ক্যান্ডেলষ্টিকের পাশাপাশি বেশ কিছু ইন্ডিকেটরও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মূলত এইসব ইন্ডিকেটরের কাজ হল শেয়ারের overbought (অতিমুল্লায়িত) বা oversold (অবমুল্লায়িত) অবস্থান নির্দেশ করা।

তবে শুধুমাত্র এইসব ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে কোন শেয়ারের ক্রয় বা বিক্রয় সিদ্ধান্ত আপনি নিতে পারবেন না। ভলিউম, ক্যান্ডেলষ্টিক, সাপোর্ট-রেজিস্টান্স ইত্যাদি এনালাইসিস যখন আপনাকে কোন একটি শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করতে ভাবাবে, তখন চার্টে এইসব ইন্ডিকেটরের অবস্থান আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ভালো করে সাহায্য করবে।

এইসব ইন্ডিকেটরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ইন্ডিকেটর MACD, MFI এবং RSI নিয়ে আজ আপনাদের প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে। তবে তাঁর আগে গত সপ্তাহে আমরা আপনাদেরকে ভলিউম এর উপর প্রাথমিক ধারণা দিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আপনাদেরকে বুলিশ-বিয়ারিশ ভলিউম কিভাবে চিনতে পারবেন এবং Volume ট্র্যাকিং নিয়ে আলোচনা করব।

>Identify Bullish & Bearish Volume: এখন কীভাবে আমরা বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম চিহ্নিত করতে পারি। শুধু তাই নয়, আমরা এই বুলিশ ও বিয়ারিশ ভলিউম দেখে বাজারের চাহিদা ও জোগান সম্পর্কেও ধারনা পেতে পারি। যখন আপনি দেখেন বাজারে একটি শেয়ারের দাম বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও বৃদ্ধি পাচ্ছে- তার মানে কী হচ্ছে? বাজারে কি চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে?

হ্যাঁ, আপনি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সহজেই দিতে পারবেন, যদি আপনি ভলিউম এনালাইসিস জানেন। যেমন ধরুন, শেয়ারটির দাম বাড়ছে এবং প্রারম্ভিক এবং সমাপনী মূল্যের মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ বেশি এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এই ভলিউমটিকে বুলিশ ভলিউম বলতে পারি। কারণ, সেই সময় বাজারে চাহিদা বেশি ছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে দামও বাড়ছিল।

আবার ঠিক একইভাবে যখন একটি শেয়ারের দাম কম ছিল এবং প্রারম্ভিক ও সমাপনী মূল্যের মধ্যেও পার্থক্য বেশি ছিল। কিন্তু ভলিউম আগের দিনের থেকেও বেশি ছিল। এই ভলিউমটিকে আমরা বিয়ারিশ ভলিউম বলতে পারি। তার কারণ হচ্ছে দাম কমছে, সেই সঙ্গে শেয়ারের জোগানও বাড়ছে। লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, আস্তে আস্তে শেয়ারটির দাম কমে যাচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে বাজারে জোগান রয়েছে বেশি, কিন্তু সেই তুলনায় চাহিদা বাড়ছে না।

ফলে বিক্রয়ের চাপ বেশি এবং দাম কমছে। সুতরাং আমরা বুলিশ এবং বিয়ারিশ ভলিউম সহজেই চিহ্নিত করতে পারব। কিছু বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে সেই বিষয়গুলো হচ্ছে, বাজারে বিয়ারিশ ভলিউম তখনই হয়, যখন প্রোফেশনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা সেই শেয়ারটি কিনতে আগ্রহী হয় না এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও চাহিদা থাকে না। একইভাবে বুলিশ ভলিউম হয়, যখন দেখা যায়, প্রোফেসনাল মানি অথবা মার্কেট মেকাররা সেই শেয়ারটি কিনতে আগ্রহী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও চাহিদা থাকে। (চিত্র-১)

>Volume এর সুবিধা: Volume ট্র্যাকিং- এর ২ টি উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিম্নরূপঃ

>১. support & resistance: জানালায় ১টি ঢিল মারলে জানালার কাঁচ ভাঙ্গে না, কিন্তু যদি ১০০ টি ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির ঢিল মারা হয় তাহলে জানালার কাঁচ ভাঙ্গার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায়। ঠিক তেমনিভাবে, কেউ যদি কোন স্টকের ১০০ শেয়ার কিনে তাহলে তার এই ক্রয়ে সেই শেয়ারের উপর কোন প্রভাব পরবে না।

কিন্তু, ১০০০ বিনিয়োগকারী যদি সেই শেয়ারটি বিভিন্ন পরিমাণে ক্রয় করেন তাহলে ১ জন বিনিয়োগকারীর ক্রয়ের তুলনায় ১০০০ বিনিয়োগকারীর ক্রয়ের পরিমাণ শেয়ারটির মূল্য বাড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। এই মূল্য বৃদ্ধি সাপোর্ট বা রেজিস্টান্স যেকোনো এরিয়াতে হতে পারে। দীর্ঘ বা সাময়িক ডাউনট্রেন্ডের পর সাপোর্ট এরিয়াতে ভলিউম বাড়ার সাথে সাথে শেয়ারের মূল্য বাড়লে বুঝতে হবে শেয়ারটির পূর্বের/বর্তমান নতুন সাপোর্ট লাইনে শেয়ারটির সাপোর্ট রয়েছে এবং এই শেয়ারে ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করা যাবে।

অন্যদিকে, যদি শেয়ারটির মূল্য ভালো ভলিউম নিয়ে রেজিস্টান্স লাইন অতিক্রম করে যায় তাহলে বুঝতে হবে মার্কেটে শেয়ারটির চাহিদা বাড়ছে এবং বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হচ্ছে। এই উভয় অবস্থার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেবার জন্য Volume এনালাইসিস গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

>২. দৈনিক ভলিউমের গড়ঃ কোন শেয়ারে বিনিয়োগের পূর্বে তার প্রতিদিনের ভলিউম অথবা ১৫-২০ দিনের দৈনিক ভলিউমের গড় নিয়ে এনালাইসিস করলে আপনি মার্কেটে শেয়ারটির অবস্থা সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাবেন। কোন শেয়ারের গড় ভলিউম যত বাড়বে ততই শেয়ারটির মূল্যে তার প্রভাব পড়বে।

এভাবে গড় ভলিউম এনালাইসিস করলে যেকোনো শেয়ারের accumulation বা distribution অবস্থা বেশ ভালভাবেই বুঝতে পারা যায় এবং ভবিষ্যতে শেয়ার মূল্য কোন দিকে যাবে তা অনুমান করতে সাহায্য করে।

এভাবে ভলিউম এনালাইসিসের মাধ্যমে trend বোঝার জন্য এবং accumulation, distribution identify করার জন্য চর্চার দরকার। চর্চা করতে করতে দক্ষ হয়ে গেলে volumes analysis দ্বারা শেয়ার থেকে ভালো মুনাফা করা বেশ সহজ হয়ে যাবে।

>ইন্ডিকেটরঃ

>MACD: Moving Average Convergence/Divergence Oscillator। ১৯৭০ সালের শেষের দিকে এটি Gerald Appel আবিষ্কার করেন। এর উচ্চারণ ‘Mac-Dee’ অথবা ‘M-A-C-D’ ।

এই ইন্ডিকেটরে ২টি ভিন্ন রঙের (চার্টে লাল এবং সাদা) লাইন থাকে এবং লাইন ২টির এভারেজ ডাটা থেকে হলুদ রঙের লম্বা বার বা Histogram তৈরি হয়। টেকনিক্যাল এনালাইসিসে MACD (Moving Average Convergence Divergence) একটা প্রধান (Leading Indicator)।

MACD ইন্ডিকেটরে যে ভ্যালুগুলো সাধারনত ব্যবহার করা হয়, তা হলো- 12,26,9। 12 দিনের Exponential Moving Average(EMA) এর মান থেকে 26 দিনের (EMA) মান বিয়োগ করে MACD ক্যালকুলেট করা হয় আর 9 দিনের EMA মানকে সিগন্যাল লাইন বলা হয় যা শেয়ারের ঊর্ধ্বগতি এবং নিম্নগতির সিগন্যাল দেয়। MACD এর মূল লাইন (লাল রং) সিগন্যাল লাইনকে (সাদা রং) ক্রস করে নীচের দিকে নামলে শেয়ারের দাম কমে আর ক্রস করে উপরের দিকে উঠলে শেয়ারের দাম বাড়ে। (চিত্র-২)

>MFI- Money Flow Index: কোন একটি শেয়ারের মূল্য, ভলিউম এবং RSI ইন্ডিকেটরের কিছু ফর্মুলা নিয়ে একত্র করে এই MFI ইন্ডিকেটর তৈরি হয়। কোন শেয়ারের ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের ক্রয়-বিক্রয়ের চাপ এই MFI ইন্ডিকেটর দিয়ে দেখা যায়।

কোন শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান বৃদ্ধি না পায় তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর নিম্নগামী হবে।

আবার, কোন শেয়ারের মূল্য পতনের সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান না কমে তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর ঊর্ধ্বমুখী হবার সম্ভাবনা আছে। (চিত্র-৩)

রেঞ্জঃ এই MFI ইন্ডিকেটরের সর্বনিম্ন মান ০ এবং সর্বোচ্চ ১০০। এর মান ২০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি oversold এবং মান ৮০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি overbought বলে ধরে নেয়া হয়।

>RSI- Relative Strength Index: RSI হচ্ছে কোন শেয়ারের overbought/oversold অবস্থা নির্ণয় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্ডিকেটর। ১৯৭৮ সালে বিখ্যাত টেকনিক্যাল এনালিস্ট J. Welles Wilder (Mechanical Engineer) তাঁর New Concepts in Technical Trading Systems বইয়ে এই ইন্ডিকেটরকে উপস্থাপন করেন।

রেঞ্জঃ এই ইন্ডিকেটরের সর্বনিম্ন মান ০ এবং সর্বোচ্চ ১০০। RSI এর মান ৩০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি oversold অবস্থায় আছে বলে ধরা হয় এবং মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। (চিত্র-৪)

অপরদিকে, RSI এর মান ৭০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি overbought বলে ধরে নেয়া হয় এবং মূল্য সংশোধনের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। তবে সব সময় যে RSI ৩০ হলে শেয়ারের দাম বাড়বে এবং ৭০ হলে শেয়ারের দাম কমবে তা ভাবা ঠিক নয়। মার্কেটে চাহিদা আর যোগানের উপর ভিত্তি করে শেয়ারের দাম পরিবর্তিত হয়।

আগামী সপ্তাহের টেকনিক্যাল এনালাইসিস আর্টিকেলে আমরা RSI, MFI এবং MACD-এর ফর্মুলা, ব্যবহারবিধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

RSI মান মূলত শেয়ারের মূল্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত যার রেঞ্জ হচ্ছে ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত। সাধারণত সবাই কোন শেয়ারের RSI মান ৩০ হলে সেটায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় আর মান ৭০ এর ঘরে চলে গেলে বিক্রি করার প্রবণতা দেখায়। তবে RSI এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হল ডাইভারজেন্স খুঁজে বের করাতে।

TA এর নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি এখনি ডাইভারজেন্স শেখার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত নন। ডাইভারজেন্স ছাড়া আপনি RSI খুব সহজে যেইভাবে ব্যবহার করতে পারেন তা হল RSI এর মান ৩০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি ক্রয় এবং RSI এর মান ৭০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি বিক্রয় করা। তবে সব সময় যে RSI ৩০ হলে শেয়ারের দাম বাড়বে এবং ৭০ হলে শেয়ারের দাম কমবে তা ভাবা ঠিক নয়। মার্কেটে চাহিদা আর যোগানের উপর ভিত্তি করে শেয়ারের দাম পরিবর্তিত হয়।

MFI (Money Flow Index): এই ইন্ডিকেটরের ফর্মুলাতে শেয়ারের ক্রয় ও বিক্রয় চাপ বোঝাতে শেয়ারের মূল্য ও ভলিউমের ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে Gene Quong এবং Avrum Soudack এর আবিষ্কৃত Money Flow Index ইন্ডিকেটরটি সব দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর ব্যবহার বেশ সহজ। MFI এর আরেক নাম volume-weighted RSI । এর নামের মধ্যেই এর দ্বারা কি ধরণের এনালাইসিস করা হবে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। Money Flow অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোন শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে নাকি কমে যাচ্ছে সেই ব্যাপারটাই এই ইন্ডিকেটরের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়। কোন শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি সেই শেয়ারের MFI ইন্ডিকেটরের মান বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝা যায় শেয়ারটিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আছে এবং এ থেকে মুনাফা পাবার সম্ভাবনা আছে। আবার কোন শেয়ারের মূল্য হ্রাসের সাথে সাথে যদি সেই শেয়ারের MFI ইন্ডিকেটরের মান হ্রাস পায় তাহলে বুঝা যায় শেয়ারটিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই এবং এ থেকে মুনাফা পাবার সম্ভাবনাও আপাতত নেই। দেখলেন তো পড়তে গিয়েই কি সহজে মুনাফা করে ফেললেন এই MFI দিয়ে!!!! এবার, MFI এর একটু কঠিন রূপ সম্পর্কেও বলি, পড়ুন ও মনে রাখুন ভবিষ্যতে খুব কাজে লাগবে। কোন শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান বৃদ্ধি না পায় তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর নিম্নগামী হবে। আর, কোন শেয়ারের মূল্য পতনের সাথে সাথে যদি MFI ইন্ডিকেটরের মান না কমে তাহলে বুঝতে হবে সেই শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি কিছুদিন পর ঊর্ধ্বমুখী হবার সম্ভাবনা আছে। এই ইন্ডিকেটরের সাহায্যে শেয়ারের রিভার্সাল অবস্থা বেশ সহজেই ধরতে পারা যায়। রেঞ্জঃ এই MFI ইন্ডিকেটরের সর্বনিম্ন মান ০ এবং সর্বোচ্চ ১০০। এর মান ২০ এর নিচে নামলে শেয়ারটি oversold এবং মান ৮০ এর উপরে উঠলে শেয়ারটি overbought বলে ধরে নেয়া হয়। oversold হলে শেয়ারটিতে দেখে শুনে বিনিয়োগ করা যেতে পারে এবং overbought হলে নতুন ক্রয়ের আগে ভাবুন আর যদি বুদ্ধিমানের মত আগেই কিনে থাকেন তাহলে ভাই খুশিতে লাভটা নিতে ভুলে যেয়েন না।

MACD: এই ইন্ডিকেটরে ২টি ভিন্ন রঙের লাইন থাকে এবং লাইন ২টির এভারেজ ডাটা থেকে হলুদ রঙের লম্বা বার বা Histogram তৈরি হয়। MACD ইন্ডিকেটরের ভ্যালুগুলো সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে। MACD খুব সহজে ব্যবহার করার ৩টি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি রয়েছেঃ ১. ক্রসওভারঃ আমরা আগেই জেনেছি MACD তে ২টি ভিন্ন রঙের লাইন থাকে। ১টি লাল রঙের একে MACD লাইন বলে আরেকটি লাইন সাদা বা লাল ছাড়া অন্যান্য রঙের হয়ে থাকে যাকে সিগন্যাল লাইন বলে। MACD লাইন যখন সিগন্যাল লাইনকে ক্রস করে উপরের দিকে উঠতেই থাকে তখন তা যে কোন শেয়ারের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থাকে নির্দেশ করে। ঠিক বিপরীতভাবে, যখন MACD লাইন সিগন্যাল লাইনকে ক্রস করে নীচের দিকে নামতে থাকে তখন তা শেয়ারের নিম্নমুখী অবস্থা বোঝায়। অনেক ট্রেডার MACD লাইন সিগন্যাল লাইনকে ক্রস করে উপরের দিকে উঠলেও বেশ কিছুদিন এর মুভমেন্ট দেখে বিনিয়োগে যান। এর কারণ হচ্ছে, অনেক সময় MACD লাইনের ফেক ব্রেকআউট হয়। ২. ডাইভারজেন্সঃ এটা শুধু এখন পড়ে যান। টেকনিক্যাল এনালাইসিসের প্রাথমিক জ্ঞান ভালভাবে আয়ত্ত করার পর এডভান্সড লেভেলে এটার সঠিক প্রয়োগ ঘটাতে পারবেন। এই ডাইভারজেন্স ব্যাপারটা তখনই ঘটে যখন শেয়ারের মূল্যের সাথে MACD লাইনের গতিপথ ভিন্ন হয়। অনেক সময় দেখা যায়, শেয়ারের মূল্য বাড়তেই থাকে কিন্তু MACD লাইন সিগন্যাল লাইনের উপরে গিয়ে আরও উপরে না যেয়ে আস্তে আস্তে নীচের দিকে যায়। এই ঘটনাকেই ডাইভারজেন্স বলে। ৩. ড্রামাটিক রাইজ & ফলঃ প্রায়শই দেখা যায় মার্কেটে হঠাৎ করে ২ বা ৩টি শেয়ার আচমকাই ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। অনেক সময় এদের ১-২ সপ্তাহে ৮০-১০০% মূল্য বৃদ্ধি পায়। এইসব শেয়ারের ক্ষেত্রে দেখা যায় MACD লাইনেও হঠাৎ উল্লম্ফন ঘটে। তাহলে এইসব শেয়ার ক্রয় করার ক্ষেত্রে MACD কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? সাধারণত সুইং ট্রেডাররা এইসব শেয়ারের ক্রয় করার আগে MACD লাইনের আগের অবস্থান দেখে নেন। দেখা যায় MACD লাইন অনেকদিন (৬-১২ মাস) সাইডলাইনে ছিল। হঠাৎ উল্লম্ফন হবার পর অভিজ্ঞ ট্রেডার হলে ১ বা ২টা ট্রেড হবার পরই তারা শেয়ার ক্রয় করে স্বল্প সময়ে ৪০-৫০% মুনাফা করে ফেলেন। এইসব শেয়ারের যেমন ড্রামাটিক রাইজ হয় ঠিক তেমনি ড্রামাটিক ফলও হয়। এই সময়েও MACD লাইন সিগন্যাল লাইনের নীচের দিকে হঠাৎ করে মূল্যের সাথে সাথে অনেক নিচে পড়ে যায়। MACD ইন্ডিকেটর চার্টিস্টদের কাছে বেশ পছন্দের ইন্ডিকেটর কারণ এর সাহায্যে একি সাথে যে কোন শেয়ারের ট্রেন্ড এবং শেয়ারটির মুভমেন্টের মোমেন্টাম সহজেই বুঝতে পারা যায়।আপনি এই ইন্ডিকেটর দিয়ে দৈনিক চার্ট এনালাইসিসের পাশাপাশি সাপ্তাহিক এবং মাসিক এনালাইসিসও করতে পারবেন। তবে, MACD দিয়ে দৈনিক চার্ট এনালাইসিস করা সহজ হলেও সাপ্তাহিক এবং মাসিক এনালাইসিস করতে অনেক চর্চা ও দক্ষতার প্রয়োজন। বিভিন্ন স্টক সফটওয়্যার এবং অনলাইন স্টক এনালাইসিস প্ল্যাটফর্ম গুলোতে MACD এর ডিফল্ট ভ্যালু (১২,২৬,৯) দেওয়া থাকে। এই ভ্যালুতে ক্রসিং সিগন্যাল একটু দেরিতে আসে। তাই, অভিজ্ঞ চার্টিস্টরা এই ভ্যালু নিজেরদের প্রয়োজনমত পরিবর্তন করে নেন। MACD দিয়ে যদি আপনি কোন শেয়ারের overbought/oversold অবস্থা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন তাহলে আপনার সেই চেষ্টা বৃথা। এর কোন সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন সীমা নাই। এই ইন্ডিকেটর শুধুমাত্র ২টি মুভিং অ্যাভারেজের (EMA) মানের পার্থক্যের উপর নির্ভর করে। পার্থক্য যত বেশি হয় তত বেশি বুলিশ বা বিয়ারিশ মুভমেন্ট হয় শেয়ারের। যদি ভেবে থাকেন সব শেয়ারের জন্য এই ২টি মুভিং অ্যাভারেজের মানের পার্থক্যের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে তবে ভুল ভাবছেন। কারণ, শেয়ারের দামের উপরই মুভিং অ্যাভারেজদ্বয়ের মানের পার্থক্য নির্ভর করে। আচ্ছা, সব শেয়ারের দাম কি একই? যদি এক না হয় তাহলে মুভিং অ্যাভারেজদ্বয়ের মানের পার্থক্যের একটি নির্দিষ্ট সীমা কি করে থাকে?

CSE Money Management Article - 1

মানি ম্যানেজমেন্ট বলতে আসলে আমরা কি বুঝি বা কিভাবে করি? আচ্ছা মানি ম্যানেজমেন্ট কারা করে?

কে করে না সেটা বলুন? আর লাইফের কোন সময়ে মানি ম্যানেজমেন্ট করা লাগে না সেটা বলুন?

শপিং, বিয়ে, সংসার থেকে শুরু করে সব জায়গাতেি মানি ম্যানেজমেন্ট করতে হয় কি না বলুন? দৈনন্দিন জীবনে আপনার হাতে থাকা টাকার যদি সঠিক ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন হয়। তাহলে স্টক মার্কেটেও কি আপনার পুঁজির ঠিকঠাক মানি ম্যানেজমেন্টের দরকার আছে।

হোক না আপনার পুঁজি মাত্র ৫০ হাজার টাকা বা ৫ কোটি টাকা। স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ যখন করেছেন তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্য উপযুক্ত মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি ঠিক করতে হবে। স্টক মার্কেট হচ্ছে এমন যুদ্ধ ক্ষেত্র যেখানে আপনার প্রতিপক্ষ হচ্ছে অচেনা এবং অদৃশ্য। এই যুদ্ধে আপনি একইসাথে রাজা এবং সেনাপতি আর আপনার সৈন্য হচ্ছে আপনার পুঁজি।

এখন আপনি আপনার এই সৈন্যদের (পুঁজি) কি পরিমাণে, কোন জায়গায় নিযুক্ত করবেন এবং আপনার হাতে আপনার বিপদে সাহায্য করার মতো কি পরিমাণ সৈন্য (পুঁজি) জমা রাখবেন। সেটার ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজিই হচ্ছে আপনার স্টক বিজনেসে সুভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের অন্যতম চাবি।

স্টক বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে বা কেনার ক্ষেত্রে হয়তো আপনার স্ট্রাটেজি খুবই খারাপ। হুজুগের বশে অযৌক্তিক দামে শেয়ার ক্রয় করছেন। কিন্তু হতে পারে আপনার মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি খুবই ভালো। তাই আপনার খুব বেশি লাভ না হলেও ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়।

এই মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি ভালো হবার জন্যে বছরের পর বছর আপনার পুঁজিকে রক্ষা করে মোটামুটিভাবে লাভ করেও স্টক মার্কেটে ব্যবসা করে যেতে পারবেন।

হ্যাঁ, অভিজ্ঞতা ও সময়ের বিচারে আপনাকে খুব সফল বিনিয়োগকারী বলা যাচ্ছে না। কিন্তু একেবারে অসফলও বলা যাচ্ছে না। অপরদিকে, যদি আপনি শেয়ারের ক্রয় এবং বিক্রয় সঠিক সময়ে করতে পারেন এবং আপনার প্রতিটি ট্রেডে সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি থাকে। তাহলে এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় যে, আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পোঁছে যাবেনি, আজ বা কাল!!!

মার্কেট যতই ভালো থাকুক। আপনার মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি যদি দুর্বল হয়। তাহলে মার্কেটের সমানুপাতে লাভ কখনোই করতে পাবেন না।

সাধনা করে, ৫-৬ জনের সাথে কথা বলে বা গুজবের পেছনে ছুটে আপনি কখনোই কোন শেয়ার সঠিক সময়ে ক্রয়বিক্রয় করে সবসময় লাভবান তো হতেই পারবেন না উলটো মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন।

আপনি কোন শেয়ার দিনের বা মাসের বা বছরের সর্বনিম্ন দামে যেমন কিনতে পারবেন না, ঠিক তেমনি সর্বোচ্চ দামেও বিক্রি করতে পারবেন না। কোন দামে শেয়ার কিনছেন বা বিক্রি করছেন সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে সর্বনিম্ন দামে কিনছেন নাকি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করছেন সেটা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ না।

তাই এই বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে আপনার পুঁজি সঠিক জায়গায় উপযুক্ত ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দিন। শেয়ার ব্যবসায় ১০০% ঝুঁকি আপনি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারবেন শুধুমাত্র সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি দিয়ে।

সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি আপনার বিনিয়োগের ঝুঁকি কমিয়ে ফেলার সাথে সাথে ধারাবাহিকভাবে লাভ করতে সাহায্য করে। যা দীর্ঘমেয়াদে আপনার বিনিয়োগকে চক্রবৃদ্ধি হারে বিশাল পুঁজিতে পরিণত করতে সাহায্য করে।

তবে সমস্যা হলো আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে যারা ব্যক্তিগতভাবে সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি করে বিনিয়োগ করে বিশাল অংকের লাভ করেছেন। তারা কেউই তা স্বীকার করেন না বা করলেও তার গোপন মন্ত্র কারো কাছে প্রকাশ করেন না।

তবে আমরা আপনাদের সেই গোপন মন্ত্রের সুত্রগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে দেব।

>> মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি কেন করব?<< আগেই বলেছি, স্টক মার্কেট হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধে জিততে হলে অবশ্যই একটা স্ট্রাটেজি লাগবে। শুধুমাত্র সৈন্য-সামন্ত থাকলেই যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। স্টক মার্কেটেও আপনার প্রতিটি ট্রেডকে লাভবান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর এজন্য সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট আপনার শেয়ার ব্যাবসায় সফলতা পেতে সাহায্য করে।

ধরুন, আপনার পুঁজি ১ লক্ষ টাকা। আপনি কোন ১ মাসে ৯টি ট্রেড করে প্রতি ট্রেডে ১৫০০ টাকা করে লাভ করলেন। আপনার লাভ দাঁড়ালো ১৩,৫০০ টাকা। কিন্তু ১০ নং ট্রেডে ১৫,০০০ টাকা লস করলেন। মাস শেষে নীট লস ১৫০০ টাকা।

তাহলে, এতো কষ্ট করে শেয়ার ব্যবসা করে লাভ কি? ১টি ট্রেডই আপনার সব লাভ নিয়ে তো গেলোই সাথে করে পুঁজিও নিয়ে গেল।

আপনি স্টক মার্কেটে লাভ করতে এসেছেন ভালো কথা। কিন্তু লাভ করার পাশাপাশি তা কিভাবে ধরে রাখতে হবে সেটাও জানতে হবে।

আবার ফান্ডামেন্টাল বা টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে, বিনিয়োগ উপযোগী ভালো শেয়ার খুঁজে পাওয়া মানেই কিন্তু আপনার নিশ্চিত লাভের নিশ্চয়তা নেই। তাহলে এনালাইসিস করে কি লাভ?

সমস্যা ফান্ডামেন্টাল বা টেকনিক্যাল এনালাইসিসের না। সমস্যা হচ্ছে সঠিক সময়ের।

দেখা যাচ্ছে, টেকনিক্যাল বা ফান্ডামেন্টালি ভাল শেয়ারটি অনেকদিন ধরে কাছাকাছি মুল্যে আছে। অনেক সময় হুটহাট করে ঐ মূল্য থেকে ১০-১৫% কমে যাচ্ছে। আবার ২ দিন পর আগের মুল্যে ফিরে আসছে। এই অবস্থায় আপনি কি করবেন?

যদি আপনি ভালো শেয়ার পেয়েছেন মনে করে একবারে আপনার পূরো মূলধন ঐ শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। এবং ঐ শেয়ারের দাম ১-২ মাসের মধ্যে না বাড়লে বা কেনা দাম থেকে ১০-২০% কমে গেলে আপনি সহজে ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। যদি আপনার ভালো মানি ম্যানেজমেন্ট থাকে, তাহলে কিন্তু আপনি এমন অথৈ সাগরে পড়তেন না।

যত ভালো শেয়ারই হোক না কেন। তাতে পুরো পুঁজি একবারে বিনিয়োগ করতে নেই।

যে কোন কারণে শেয়ারের দাম কমতেই পারে। সেই কথা মাথায় রেখে হাতে মোট পুঁজির ২৫%-৩০% এর বেশি এক শেয়ারে কখনোই বিনিয়োগ করতে নেই। আবার সবসময় ২০% টাকা হাতে রাখা ভালো। তখন কোন শেয়ারের দাম কমে গেলে হাতে রাখা টাকা দিয়ে কম দামে ঐ শেয়ার কিনে লস কমানো যায়।

আপনাদের একই কথা বারবার বিভিন্ন উদাহরনের মাধ্যমে বলার কারণ একটাই; মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি ছাড়া শেয়ার ব্যবসায় ভালোভাবে টিকে থাকা যায় না।

আপনার প্রতিটি ট্রেডেই আছে লস করার ঝুঁকি। তাই ভালো শেয়ার খুঁজে বের করার পদ্ধতি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে সফলভাবে ট্রেড ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। অনেক বিনিয়োগকারী এই মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি বিষয়টিকে মানতে চান না। একারনেই বলা হয় শেয়ার ব্যবসায় ৯৫% বিনিয়োগকারী লস করে।

>>কিভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করবেন?<< কিভাবে এই ম্যানেজমেন্ট করবেন তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার আগে নিচের এই ৩টি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ভাবুন।

১. আমার পুঁজির বিপরীতে সর্বোচ্চ কতটুকু ঝুঁকি নিবো? ২. একসাথে কয়টা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করবো? ৩. আমার Risk:Reward-এর অনুপাত কত হবে?

K C MONDOL

Support Break এবং পরবর্তীতে করণীয়ঃ

অনেক সময় আমরা ষ্ট্রং সাপোর্টে (Strong Support) শেয়ার ক্রয় করেও সেটাতে লসে পড়ি। আসুন এমন সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় তা আলোচনা করি।

এখন আমরা আলোচনা করব টেলিকমিউনিকেশন খাতের " X " শেয়ারটি নিয়ে। ১ নং চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ৩২১/= শেয়ারটির একটি খুবই ভাল সাপোর্ট। এ রকম সাপোর্টে যে কোন শেয়ারে পেলে কিনতে মনকে কন্ট্রোল করা যায় না এবং সেই সাপের্টে এসে গত ৬/৮/১৫, ৯/৮/১৫ ও ১০/৮/১৫ তে কম ভলিউমে ছোট ছোট ক্যান্ডেল যা কেনা কে আরো উৎসাহিত করে। তাই উক্ত সময়ে অনেকেই হয়তো শেয়ারটায় এন্ট্রি দিয়েছেন।কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়, এ সময়ে ইন্ডেক্স সাইডয়েজ মুভমেন্টে আছে, ফলে অধিকাংশ শেয়ারের কপালে জুঠল ডাউনট্রেন্ড।

এখন আলোচনা করি তার পর কি ঘটছে তা নিয়ে।১১/৮/১৫ তারিখের ক্যান্ডের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, একটি বড় বিয়ারিস ক্যান্ডেল এবং যার ক্লোজিং প্রাইস ৩২০.৬ অর্থাৎ সাপোর্ট ব্রেক করল। এর পর পরপর কয়েকটা বিয়ারিস ক্যান্ডেল অর্থাৎ ১১/৮/১৫ তারিখের সাপোর্ট ব্রেককে কনফর্ম করল। এ সময় টেকনিক্যাল এনালিসিসে যারা সবল, সে সকল বিনিয়োগকারীরা Stop Loss দিয়ে বেরিয়ে গেল। আর আম জনতা আটকে পড়ে খাকল।

সুতরাং কোন শেয়ারের Strong Support Break করলে Stop Loss প্রয়োগ করা/বিক্রি করে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ, সে যত ভাল/খারাপ শেয়ারই হোক না কেন।

আমরা জানি যে, কোন শেয়ারের দাম যখন Strong Support ব্রেক করে নিচে নেমে যায় তখন সেই Support পরবর্তীতে Resistance হিসাবে কাজ করে। আর ১ নং চিত্রের শেষ অংশে খেয়াল করলে দেখা যায় যে, ১৮/৮/১৫ তারিথ থেকে শেয়ারটির দাম বাড়তে শুরু করলেও সেই পূর্ববর্তী সাপোর্ট ৩২১ রেজিষ্ট্যান্স হিসাবে কাজ করেছে ফলে সেখানে বাঁধা পেয়ে পুনরায় ডাউন হতে শুরু করেছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ ডাউন কোথায় শেষ হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর কয়েকটি- ১. পরবর্তী সাপোর্টে শেষ হতে পারে। (চিত্র-২ অনুযায়ী ২৯০/=). ২. সাপোর্ট খেকে High পয়েন্টের উচ্চতা যতটুকু সাপোর্ট থেকে তত টুকু নিচে ।(অর্তাৎ High [৩৫০]- Suppotr[৩২১]=২৯ তাই সাপোর্ট ৩২১-২৯=২৯২. (চিত্র-৩ ) ৩. লাষ্ট Higher low (309/=) to Lower High (321.5/=) তে ফিবনোসি প্রয়োগ করলে ১৬১.৮% ও ২৬১.৮% এ যে দুটি মান পাওয়া তা হলো ৩০১.২৪/= ও ২৮৭.৭৮/= (চিত্র-৪)

কোথা খেকে ব্যাক করবে সেটা সময়ই হলেই বোঝা যাবে। এখন ২য় প্রশ্ন হলো শেয়ারটিতে কখন নিরাপদ বিনিয়োগে যাওয়া যেতে পারে? - Lower Highগুলো যোগ করলে যে ডাউনট্রেন্ড লাইন পাওয়া যায় সেই ডাউনটেন্ট লাইন High Volme এ ব্রেকআউট করে উপরে উঠলেই শেয়ারটাতে এন্ট্রি দেয়া নিরাপদ।(চিত্র-৫)

Divergence Trading: কোন শেয়ারের দাম যখন কমতে থাকে তখন আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। বুঝতে পারিনা কোনটি তার বটম। তদ্রুপ যখন কোন শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে তখন বুঝতে পারিনা কোথায় সে থামবে অর্থাৎ তার টপ পয়েন্ট কোনটা। এই বটম বা টপ খুঁজতে সহায়তা করে যতগুলো ট্রেডিং ষ্ট্রাটিজি তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ষ্ট্রাটিজি হলো Divergence Trading।

প্রথমেই আলোচনা করা যাক Divergence Trading কী? Divergence Trading হলো কোন শেয়ারের দাম যখন কমতে থাকে এবং Lower Low তৈরী করছে কিন্তু Indicator (RSI,MFI, stochastic, MACD ইত্যাদি) শেয়ারের দামের হ্রাসের সঙ্গে তাল না মিলিয়ে উল্টা আচারন করছে অর্থাৎ Lower low তৈরী না করে Higher Lower তৈরী করে। অপরপক্ষে কোন শেয়ারের দাম যখন বাড়তে থাকে এবং Higher High তৈরী করছে কিন্তু Indicator (RSI,MFI, stochastic, MACD ইত্যাদি) শেয়ারের দামের বৃদ্ধির সঙ্গে তাল না মিলিয়ে উল্টা আচারন করছে অর্থাৎ Higher High তৈরী না করে Lower High তৈরী করে।কোন শেয়ারের দাম হ্রাস বা বৃদ্ধির সাথে ইন্ডিকেটর এর বিপরীতমূখী আচারণ Technical Analysis এ Divergence Trading নামে পরিচিত।

দুই ধরনের Divergence রয়েছে। একটি হচ্ছে Regular Divergence এবং আরেকটি হচ্ছে Hidden Divergence । Regular Divergence আবার ২(দুই) প্রকার-1. Regular Bullish divergence & 2. Regular Bearish divergence.

1. Regular bullish divergence: যদি কোনো শেয়ারের দাম lower lows অবস্থানে থাকে, কিন্তু oscillatorটি higher lows অবস্থানে থাকে, তবে সেটি হবে Regular bullish divergence । এই Regular bullish divergence সাধারণত সংগঠিত হয় একটি ডাউন ট্রেন্ডের শেষ মুহূর্তে। চিত্র-১ এ Regular bullish divergence দেখানো হয়েছে।

2. Regular Bearish divergence: যদি কোনো শেয়ারের দাম Higher High অবস্থানে থাকে, কিন্তু oscillatorটি Lower High অবস্থানে থাকে, তবে সেটি হবে Regular Bearish divergence । এই Regular Bearish divergence সাধারণত সংগঠিত হয় একটি আপ ট্রেন্ডের শেষ মুহূর্তে। চিত্র-২ এ Regular Bearish divergence দেখানো হয়েছে।

Hidden Divergenceও ২(দুই) প্রকার: 1. Hidden Bullish divergence & 2. Hidden Bearish divergence. 1.Hidden Bullish divergence: Hidden Bullish divergence সংগঠিত হয়, যখন একটি শেয়ারের দাম higher low অবস্থানে থেকে এবং Indicator/oscillatorটি lower low অবস্থনে থাকে। Hidden Bullish divergence লক্ষ্য করা যায় Bullish Continuation Pattern এর মধ্যবর্তী অবস্থায়। চিত্র-৩ এ Hidden Bullish divergence দেখানো হয়েছে।

2.Hidden Bearish divergence: Hidden Bearish divergence সংগঠিত হয়, যখন একটি শেয়ারের দাম higher low অবস্থানে থেকে এবং Indicator/oscillatorটি Higher high অবস্থনে থাকে। Hidden Bearish divergence লক্ষ্য করা যায় Bearish Continuation Pattern এর মধ্যবর্তী অবস্থায়। চিত্র-৪ এ Hidden Bearish divergence দেখানো হয়েছে।

Distinct

Decipher

Bullish Price Bar

The open and the close define a bullish price bar. Simply, if the close

is above the open, the price bar is considered bullish. The degree of

bullishness can vary based upon the distance between the open and the close.

This


Featured Posts
Check back soon
Once posts are published, you’ll see them here.
Recent Posts
Archive
Search By Tags
Follow Us
  • Facebook Basic Square
  • Twitter Basic Square
  • Google+ Basic Square
bottom of page